নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বাংলায় গাঁজা পাচার চলছে। ধুবুলিয়া থানার পুলিস ৬০কেজি গাঁজা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম নূরনবী সরকার, প্রশান্ত সরকার ও সাইদুর রহমান। প্রত্যেকেই অসমের বাসিন্দা। সোমবার গভীর রাতে ১২নম্বর জাতীয় সড়কে তাদের পাকড়াও করে পুলিস।
মঙ্গলবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২জুন ফের তাদের আদালতে তোলা হবে। তখন ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস হেফাজতে নেবে। এই পাচারচক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে।
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, আমরা লাগাতার মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছি। বিশেষত জাতীয় সড়ক এলাকায় নজরদারি চলছে। সন্দেহ হলেই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ এই তিনজনকে গ্রেপ্তার পুলিসের বড় সাফল্য।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে ধুবুলিয়া থানার পুলিস জাতীয় সড়কে অভিযান চালায়। একটি চারচাকা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই গাঁজা উদ্ধার হয়। গাড়ির নীচের দিকে বিশেষ ক্যাবিনেট বানিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রাখা হয়েছিল। এরপরই গাড়িতে থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বাংলায় গাঁজা পাচার নতুন নয়। ২০মে কোচবিহার থেকে বেসরকারি বাসে ২৫কেজি গাঁজা নিয়ে কৃষ্ণনগরে আসছিল এক ব্যক্তি। পুলিস তাকে পাকড়াও করে। গত দেড়বছরে কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রায় ২০০০কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে। বিভিন্ন থানায় রুজু হওয়া ২৯টি মামলায় ৬৩জন গাঁজা পাচারকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
কৃষ্ণনগর শহরে মাদকের প্রভাব উদ্বেগজনক চেহারা নিচ্ছে। বিশেষত অল্পবয়সী কলেজপড়ুয়াদের মধ্যে গাঁজার চাহিদা বেড়ে চলেছে। রাত নামলেই শহরের বিভিন্ন অন্ধকার গলিতে নেশার আসর বসে। নেশা করে অনেক যুবক অশান্তি ছড়ায়। এনিয়ে শহরবাসীর প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। গত কয়েকমাসে জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকায় প্রচুর গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কখনও ওড়িশা থেকে পাচারের সময়, কখনও উত্তরবঙ্গ হয়ে আনা গাঁজা পুলিস উদ্ধার করেছে।
• পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। -নিজস্ব চিত্র