• অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটাল গৃহবধূ
    বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে তৈরি হওয়া অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়েই বিপত্তি। বেঁকে বসেন প্রেমিকা। প্রেমিক তাঁকে এড়িয়ে চলায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এমনকী প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলতে খাবারে বিষ মিশিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হন আক্রান্ত প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার সভাইপুর গ্রামে। বনগাঁ থানার পুলিস অভিযুক্ত গৃহবধূ মন্দিরা হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মারধর ও ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভাইপুরের বাসিন্দা পুলক সর্দারের সঙ্গে প্রতিবেশী গৃহবধূ মন্দিরা হালদারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। মন্দিরার স্বামী ভিনরাজ্যে কর্মরত। দু’জনের সম্পর্কের জেরে দুই পরিবারের ঝামেলা শুরু হয়। বছর খানেক আগে পুলককে বাইরে কাজে পাঠিয়ে দেন বাবা মা। মাস তিনেক আগে বাড়ি আসে পুলক। আবারও অশান্তি শুরু হয়। পরিবারের দাবি, পুলককে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলা হয়। এরপরই গৃহবধূর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন তিনি। তবে নাছোড়বান্দা মন্দিরা। গত ১২ তারিখ মন্দিরার বাড়িতে খেলতে যায় পুলকের ভাইপো। অভিযোগ, মন্দিরা বছর পাঁচের শিশুকে বিষ মাখানো খাবার খেতে দেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ তারিখ রাতে পুলকের ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন মন্দিরা। লোহার বাটখারা দিয়ে মাথায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন তিনি। ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাত করেন। পুলককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার গভীর রাতে প্রেমিকের বাড়িতে জানালা দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মন্দিরার বিরুদ্ধে। পুড়ে যায় আসবাবপত্র। পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, তাঁদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে থানায় এসে প্রেমিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পুলক। তাঁর দাবি, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় আক্রান্ত হতে হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে 

    তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
  • Link to this news (বর্তমান)