স্ত্রীকে খুনের মামলায় প্রমাণের অভাবে খালাস স্বামী সহ তিন
বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক যুগ আগে বজবজে পণের দাবিতে মারধর করা হয় গৃহবধূকে। তার জেরেই নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন তিনি। সেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি আদালতে। সেকারণেই ওই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন জামিনে থাকা অভিযুক্ত স্বামী সহ তিনজন। সম্প্রতি আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় এই রায় দিয়েছেন। আদালতের মন্তব্য, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। সরকারি কৌঁসুলি মামলার রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে ন্যায়বিচার মেলায় ভালো লাগছে। আমাদের মক্কেলদের যে মিথ্যা মামলায় ফআঁসানো হয়েছিল, তা কোর্টের রায়েই প্রমাণিত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানা এলাকায় এক গৃহবধূ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃতার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ ছিল, পণের দাবিতে তাঁদের মেয়েকে মারধর করায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহের গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই মর্মে বজবজ থানায় অভিযোগ জানানো হয়। মামলা দায়ের হয় মৃতার স্বামী সহ চারজনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় পুলিস তদন্ত শেষ করে আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে। মামলাটি বিচারের জন্য যায় আলিপুর জেলা আদালতে। বিচার চলাকালীন মারা যান মৃতার শাশুড়ি। আদালতে সাক্ষ্য দেন ১৪ জন। বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন দু’জন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সম্প্রতি স্বামী সহ তিনজনকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক।