মারধরের পর পিঠমোড়া করে হাত বেঁধে ফেলা হয়েছিল ভেড়ির জলে
বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: প্রথমে বেধড়ক মারধর। তারপর পিঠমোড়া করে হাত বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছিল ভেড়ির জলে! নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে রাজারহাটের তরুণকে! প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস। কিন্তু, কে বা কারা খুন করল, কেন খুন করল, তা স্পষ্ট নয়। খুনে একাধিক লোকজন যুক্ত রয়েছে বলেই অনুমান। ঘটনার দিন মৃত তরুণ কাকভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতেই ফেলে যান নিজের ফোনটি। পরিবারের পক্ষ থেকে ফোনটি পুলিসকে দেওয়া হয়েছে। কললিস্ট সহ বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনও ক্লু পাওয়া যায়।
সোমবার বিকেলে রাজারহাটের মোবারকপুর এলাকার একটি ভেড়ি থেকে তৌহিদ রহমান সাঁপুই (২০) এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, তৌহিদের গলাতেও ফাঁসের দাগ রয়েছে। পুলিসের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁকে মারধর করে হাত বেঁধে জলে ফেলে খুন করা হয়েছে। শরীরে মারধরের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে এলে সমস্ত বিষয় কিনারা হবে।
সোমবার ভোর ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ তৌহিদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের দিন রাতে শোয়ার সময় তিনি চাবি নিয়ে শুয়েছিলেন। নিজেই ভোরে দরজার তালা খুলে বেরিয়ে যান। ফোনটি ফেলে যান বাড়িতেই। সকাল হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বিকেলের পর মোবারকপুর থেকে লাঙলপোতা যাওয়ার পথে একটি ভেড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে নিউটাউনে ইকোপার্ক থানার হাতিয়াড়া এলাকায় বাড়ির ভিতর থেকে সুমনা সাউ নামে এক বধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিস। তবে, ওই খুনের ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। ওইদিন রাতেই ইকোপার্ক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। বধূর এক আত্মীয় খুন করেছে বলেই দাবি করা হয়েছে। ওই আত্মীয় পলাতক। এফআইআরে আত্মীয়ের নামও লিখে দেওয়া হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আত্মীয়ের খোঁজ চলছে। তবে, কী কারণে এই খুন, তা স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।