• বাণিজ্যিক স্থান ব্যবহারের লাইসেন্স নিচ্ছে না বহু সংস্থা, নজরদারির সিদ্ধান্ত পুরসভার
    বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: রাজ্যের প্রতিটি পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনের মাধ্যমে মেলে। তবে পুর আইন অনুযায়ী, ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার পরও ব্যবসার জায়গাটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে বা নন রেসিডেন্সিয়াল হিসেবে ব্যবহারের জন্য পুরসভা থেকে লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম। তার জন্য স্কোয়ার ফুট অনুযায়ী ফিজ দিতে হয়। কিন্তু দক্ষিণ দমদমের বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এই লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালাচ্ছে। এর ফলে বিপুল আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পুরসভা। এবার এই খাতে আয় বাড়াতে পুরসভা পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩৫টি ওয়ার্ডকে তিন ভাগে ভাগ করে তিন জন কালেক্টরকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। পুর আধিকারিকদের দাবি, এই খাতে বছরে কয়েক লক্ষ টাকা আয় হতে পারে। 

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুরসভায় চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (সিআইসি) বৈঠকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যান কস্তুরী চৌধুরী নোট দিয়ে বলেছেন, ‘পুর আইনের আন্ডার সেকশন ১১৮-এর অন্তর্গত ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই আইনেরই আন্ডার সেকশন ২০১ অনলাইন হয়নি। বহু ব্যবসায়ী ২০১-এর অর্ন্তগত। অথচ এই সেকশনের মধ্যে থাকা ব্যবসায়ীরা পুরসভা থেকে লাইসেন্স করাচ্ছেন না। ফলে আয় কম হচ্ছে।’ পুরসভার আধিকারিকরা বলছেন, অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করানোর পরও আইন অনুযায়ী পুরসভা থেকে আরও একটি লাইসেন্স নিতে হয়। কোনও জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার বা নন রেসিডেন্সিয়াল করতে ছাড়পত্র লাগে। সেটাই আন্ডার সেকশন ২০১। বড় অংশের ব্যবসায়ী তা নিচ্ছেন না।

    সে কারণে সিআইসি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়, শহরের ওয়ার্ডগুলির জন্য কালেক্টরদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দু’জন করে কালেক্টর অ্যাসিস্ট্যান্টও দেওয়া হবে। সেখানে নির্দিষ্ট করে বলা হয়, ২০১ সেকশনের মধ্যে কোনও ধরণের ব্যবসা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য কত ভাড়া রয়েছে। ১০০ স্কোয়ার ফুট পর্যন্ত সমস্ত ধরণের দোকান, স্টল ও স্পা ছাড়া সেলুনের বাৎসরিক লাইসেন্স ফিজ ৫০০ টাকা। ১০১ থেকে ৫০০ স্কোয়ার ফুট ৭০০, ৫০১ থেকে হাজার স্কোয়ার ফুট এক হাজার টাকা, ১০০১ থেকে দেড় হাজারের ভাড়া দু’হাজার টাকা। তার উপরে থাকা সমস্ত মাপের জন্য বাৎসরিক লাইসেন্স ফিজ তিন হাজার টাকা। এই তালিকায় পানশালা, রেস্তরাঁ, স্পা সহ সেলুন, গেস্ট হাউস, হোটেল, মদের দোকান, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্যাথলজি সেন্টার, নার্সিংহোম, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ব্যাঙ্ক, পেট্রল পাম্প সহ নানান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের ছড়াছড়ি। ফলে এই খাতে পুরসভার বিপুল লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা।
  • Link to this news (বর্তমান)