• দে পরিবারের কিশোরকে সাক্ষী করে চার্জশিট দিচ্ছে পুলিস
    বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ট্যাংরায় দে পরিবারে খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী প্রণয়ের নাবালকে সন্তানকে মূল সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে দেখাতে চলেছে পুলিস। কীভাবে মা, বোন ও কাকিমাকে খুন করা হয়েছে, তা জানত ওই কিশোর। সেকারণেই তাকে সাক্ষী রেখেই মামলার শুনানি করাতে চান তদন্তকারীরা। চলতি সপ্তাহে শিয়ালদহ আদালতে এই চার্জশিট জমা পড়ার কথা। ট্যাংরার শীল লেনে গত ফেব্রুয়ারি মাসে খুন হন দে পরিবারের গৃহবধূ রোমি ও সুদেষ্ণা। রোমির নাবালিকা মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার বাবা প্রসূন। গাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়কে। বড় ভাই প্রণয়ের ছেলে দুর্ঘটনায় আহত হন। জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, প্রসূন নিজের মেয়ে, স্ত্রী ও বউদিকে খুন করেছেন। প্রণয়ের নাবালককে ছেলেকে বালিস চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই নাবালক পুলিসকে জানিয়েছে, ‘বালিস চাপা দেওয়ার পর সে নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। মারা গিয়েছে ভেবে কাকা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। মা, কাকিমা ও বোনকে খুন করেছে কাকা। এরপর বাবা, কাকা ও দাদা তিনজনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরার পর বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে প্রসূন। ব্যবসা ভালো না চলায় এবং বাজারে বিপুল পরিমাণ দেনা হওয়ায় গোটা পরিবারকেই শেষ করার চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দে পরিবার। ওই কিশোর জানিয়েছে, একারণে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানো হয়েছিল সবাইকে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় কাকা তিনজনকে খুন করেন। সবটাই জানতেন বাবা।’ এরপর তিনজন আত্মহত্যা করতে বেরিয়ে পড়েন।’ তদন্তে নেমে পুলিস দে পরিবারের দুই ছেলের বয়ান নিয়েছে। ওই বাড়ির পরিচারিকা, পাওনাদার সহ আরও অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সবটাই জানত ওই কিশোর। শুনানি পর্বে মামলাকে শক্তপোক্ত করতে তাই তাকেই মূল সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)