• উত্তর বারাকপুরের জঞ্জাল নিতে রাজি নয় গারুলিয়া
    বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে পানিহাটির জঞ্জাল সমস্যা মিটতে চলেছে। কিন্তু সেই সমস্যা মিটল না উত্তর বারাকপুর পুরসভার। পুরদপ্তরের বিশেষ সচিব জলি চৌধুরী সম্প্রতি চিঠি দিয়ে উত্তর বারাকপুর এবং গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন, উত্তর বারাকপুর পুরসভার সমস্ত জঞ্জাল গারুলিয়া পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে। সেখানে অতি দ্রুত প্রসেসিং প্লান্ট তৈরি হবে। সেই প্লান্টে জঞ্জাল থেকে সার তৈরি এবং প্লাস্টিক পুনর্নবীকরণ করা হবে। কিন্তু পুরদপ্তরের ওই প্রস্তাব আপাতত নাকচ করে দিয়েছে গারুলিয়া পুরসভা। বোর্ড মিটিংয়ে গারুলিয়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই মুহূর্তে বাড়তি জঞ্জাল নেওয়া সম্ভব নয়। মাঝেমধ্যেই সেখানে আগুন জ্বলছে। প্রসেসিং প্লান্ট তৈরি হলে ওই জঞ্জাল নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার আগে সেটা সম্ভব নয়। 

    গারুলিয়া পুরসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে উত্তর বারাকপুর পুরসভা এলাকার জঞ্জাল সাফাইয়ের সমস্যা রয়েই গেল। ওই পুরসভা এলাকার মধ্যেই মণিরামপুর, নবাবগঞ্জ, পলতা, ইছাপুর প্রভৃতি এলাকা পড়ে। সর্বোপরি পলতার বায়ু সেনাঘাঁটিও এই পুরসভা এলাকার মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু জঞ্জাল ফেলার কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকার জন্য খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ওই পুর কর্তৃপক্ষকে। এখানে রোজ প্রায় ৭২ টন জঞ্জাল তৈরি হয়। সেই জঞ্জাল উত্তর ব্যারাকপুর পুরভবনের সামনে রাস্তার ধারে ফেলা হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

    এ ব্যাপারে উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ বলেন, ২০১৫ সালের আগে আমরা গারুলিয়া পুরসভার সঙ্গেই জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালাতাম। এজন্য আমরা পুরস্কৃতও হয়েছিলাম। ২০১৬ সালে সেই চুক্তি ভেঙে যায়। ফলে জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। পুরমন্ত্রী একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে ঠিক হয়েছিল, আমাদের জঞ্জাল গারুলিয়া পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে। সেই মতো জলি চৌধুরী একটি চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু গারুলিয়া পুরসভা তাতে রাজি নয়। আমরা বিষয়টি পুরমন্ত্রীকে ফের জানাব।

    কেন তারা উত্তর বারাকপুরের জঞ্জাল নিতে রাজি নয়, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস বলেন, আমাদের ড্রাম্পিং গ্রাউন্ড অনেকদিনের পুরনো। সেখানে বাড়তি জঞ্জাল নেওয়ার আর জায়গা নেই। মাঝেমধ্যেই জঞ্জাল থেকে আগুন বেরচ্ছে। অবিলম্বে প্রসেসিং প্লান্ট তৈরি করা দরকার। এছাড়া আমাদের কাউন্সিলারদেরও উত্তর বারাকপুর পুরসভার জঞ্জাল নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে। বোর্ড মিটিংয়ে তাঁরা সেই মত জানিয়েছেন। পুর বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনেই তো আমাকে চলতে হবে। তা আমি পুরদপ্তরকে জানিয়ে দেব। তবে প্রসেসিং প্লান্ট চালু হয়ে গেলে অবশ্য ওই বাড়তি জঞ্জাল নিতে পারব আমরা।
  • Link to this news (বর্তমান)