• ভাগীরথীতে ফের কুমির দর্শন! সচেতনতায় দিনভর মাইকিং, আতঙ্কে বন্ধ স্নান
    প্রতিদিন | ২৯ মে ২০২৫
  • অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কালনার ভাগীরথী নদীতে ফের কুমির-দর্শন ঘিরে আতঙ্ক। বুধবার সকালে কালনার খেয়াঘাট এলাকায় কুমির দেখতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। এর জেরে এদিন দূরদূরান্ত থেকে গঙ্গায় স্নান করতে আসা অনেক পুণ্যার্থীকেও যেতে দেওয়া হয়নি, স্নান না করেই ফিরতে হয় তাঁদের। অন্যদিকে, নদীতে কুমিরের উপস্থিতি নিয়ে জনসচেতনতা প্রচার করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুরসভা। এলাকায় মাইকিংয়ের পাশাপাশি লঞ্চে চেপে কুমিরের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখলেন পুলিশ প্রশাসন- সহ কালনা পুরসভার কর্মী, বনকর্মীরা।

    কালনার ভাগীরথী নদীতে কুমির দর্শন এই প্রথমবার তা নয়। এর আগেও এই নদীতেই কুমিরের দেখা মিলেছে। গত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এমনই একটি বড়সড় আকারের কুমির শহরের পালপাড়া এলাকায় বাড়ির উঠোনে ঘরের উঠোনে চলে আসায় হুলুস্থূল পড়ে যায় এলাকায়। বেশ কয়েকঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়। স্বাভাবিক কারণেই কুমির আতঙ্ক আজও তাড়া করে বেড়ায় শহরবাসীকে। বুধবার সকালে হঠাৎ করে মৎস্যজীবীরা কুমিরের দেখা মিলতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কালনা পুরসভার উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল, কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার, অনিল বসু, কালনা থানার পুলিশ, কাটোয়া বনদপ্তরের কর্মীরা।

    কাটোয়া বনবিভাগের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা জানান, “নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে মিষ্টি জলে থাকা কুমির চট করে কাউকে আক্রমণ করে না। তবু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।” অন্যদিকে, কুমির দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় বাড়তে থাকে। ভাগীরথীতে কুমিরের বিচরণ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন অনেকেই। ফেরিঘাটের ম্যানেজার জয়গোপাল ভট্টাচার্যের কথায়, “কুমির দেখার পর থেকেই মাইকিং করে সাধারণ মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। জলে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।”

    উপপুরপ্রধান তপন পোড়েলের নেতৃত্বে এদিন একটি দল লঞ্চে চেপে সতর্কতামূলক প্রচার চালান। তপনবাবু জানান, “বিষয়টি বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আমরাও এলাকায় প্রচার চালাচ্ছি। বলা হচ্ছে, অযথা আতঙ্কিত হবেন না। তবে সাবধানে থাকতে হবে।” যদিও দুপুর একটা নাগাদ কুমিরটিকে হুগলির গুপ্তিপাড়ার দিকে নদীর তীরে উঠতে দেখা যায় বলে জানান বনকর্মীরা। এদিন বিকাল পর্যন্ত কালনার দিকে কুমিরটির আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)