• ছেলে পাক মুলুক থেকে ফিরলেই পুজো, মায়ের মানত মেনে তারকেশ্বরে পূর্ণম সাউ
    প্রতিদিন | ২৯ মে ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারানোর পর সীমান্তে বাড়তি নজরদারি চালাতে গিয়ে ‘ভুল করে’ সীমান্ত পেরিয়ে পাক মুলুকে ঢুকে পড়েছিলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। প্রায় দিন ১৭ পর পাক মুলুক থেকে ছাড়া পেয়ে দেশের মাটিতে ফেরেন তিনি। তারও পর গত ২৩ মে হুগলির রিষড়ায় নিজের বাড়িতে এসেছেন পূর্ণম। মায়ের মানত ছিল, ছেলে ফিরলে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দেবেন। তা মেনেই বুধবার পুজো দিতে সপরিবারে তারকেশ্বর গেলেন বিএসএফ জওয়ান। সাধারণ ভক্তদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে দিলেন পুজো। আর তাঁকে দেখামাত্রই চিনতে পেরে অন্যান্য ভক্তরা তুললেন সেলফি।

    বুধবার দুপুরে আচমকা পরিবারকে নিয়ে রিষড়া থেকে তারকেশ্বরে শিবমন্দিরে পৌঁছে যান সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ফেরা বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। ঘড়িতে সময় তখন ১২টা। সঙ্গে মা দেবন্তী দেবী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী, ছেলে ও অন্যান্য আত্মীয়। পূর্ণম খালি পায়ে, গলায় আকন্দফুলের মালা পরে পুজোর ডালি হাতে দাঁড়ান পুজো দেওয়ার লাইনে। সেসময় এক পুরোহিত তাঁকে চিনে ফেলেন। প্রশ্ন করেন, ‘আপনিই সেই বিএসএফ জওয়ান না?’ পূর্ণম জানান, তিনি জওয়ান, দেশের জন্য কাজ করেন। এরপরই পূর্ণমকে ঘিরে ধরে লাইনে থাকা অন্যান্য সদস্যরা তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন।

    পুজো দেওয়ার পর পূর্ণম জানান, বাড়ি ফেরার পর মায়ের মানতের কথা জানতে পারেন। তাই পরিবারের সবাই মিলে এদিন এসেছেন পুজো দিতে। মহেশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে তিনি বেশ শান্তি পেলেন বলেও জানান বিএসএফ জওয়ান। আর তাঁদের পুজো করিয়ে পুরোহিত বলেন, দেশের ‘রিয়েল নায়ক’কে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)