• ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ সীমান্ত, দিনভর কাঁটাতারের ওপারে চাষ করতে যেতে পারলেন না কৃষকরা
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: সীমান্তে উত্তেজনার কারণে বুধবার কাঁটাতার পেরিয়ে জমিতে কাজে যেতে পারলেন না মাথাভাঙার সাঙারবাড়ির কৃষকরা। এদিন তাঁরা দিনভর সীমান্তের গেটের কাছে জড়ো হয়ে নজর রাখলেন পরিস্থিতির উপর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে ভুট্টা ও বোরো ধানখেত রয়েছে তাঁদের। এদিন রোদ থাকায় সকালেই ভুট্টা তুলতে আসেন। সেই সময়ে বিজিবি’র সঙ্গে একদল বাংলাদেশি জিরো পয়েন্টের দিকে আসে। তা দেখে তাঁরা তড়িঘড়ি কাঁটাতারের গেটের কাছে চলে আসেন। বিএসএফ গেট খুলে দিলে তাঁরা মূল ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। তারপর দিনভর সীমান্তে বিএসএফ ও পুলিসের আনাগোনা লেগে রয়েছে। কাঁটাতার পেরিয়ে জমিতে আর এদিন কেউ যাননি। 

    স্থানীয় বাসিন্দা রজনী বর্মন, উকিল বসাক বলেন, ওপারে জমিতে ভুট্টা পেঁকে রয়েছে। বোরো ধান কাটারও সময় হয়েছে। গত দু’দিন বৃষ্টি না হওয়ায় এদিন জমিতে যাই। কাজ শুরু করতেই বাংলাদেশিরা জিরো পয়েন্টে এসে ঝামেলা শুরু করে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে আবার বৃষ্টি হতে পারে। এদিনটা পাওয়া গেলে ফসল কাটা যেত। এমন অবস্থায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সমস্যা কবে মিটবে বুঝতে পারছি না। 

    এদিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে সাঙারবাড়ি বিওপি’র ১৩ নম্বর গেটের কাছে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি কী হয় সেদিকে নজর ছিল সকলের। যদিও দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও বাংলাদেশিরা জিরো পয়েন্টে বসে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ আধিকারিক বলেন, বিজিবি মানছে না ওরা বাংলাদেশের লোক। বিজিবি বলছে, ওই লোকজন ভারতীয়। আমরা বলেছি, ভারতীয় হলে নথিপত্র দেখাক। কিছুই দেখাতে পারেনি। ওরা ফেরত না নিলে আমাদের দেশেও ঢুকতে দেব না। 

    সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দিনের বেলায় সবকিছু বোঝা যায়, দেখাও যায়। রাতে যদি বাংলাদেশের লোকজন ঝামেলা করে, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। যদিও বিএসএফ জানিয়েছে, কড়া নজরদারি চলছে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)