• অনুপ্রবেশ রুখে দিল বিএসএফ, নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে বহু
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
  • সন্দীপ বর্মন, মাথাভাঙা: বুধবার দিনভর ব্যাপক উত্তেজনা মাথাভাঙা মহকুমার সাঙারবাড়ি ও মহিষমুড়ির বাংলাদেশ সীমান্তে। মহিষমুড়ির শালবাড়ি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। শালবাড়ির তিনদিকে বাংলাদেশ। ধরলা নদী মূল ভুখণ্ড থেকে শালবাড়িকে বিছিন্ন করে রেখেছে। এদিন কাঁটাতারহীন শালবাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন আটজন বাংলাদেশি। তিনটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও বিএসএফের বাধায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, সিতাই বিধানসভার ব্রহ্মোত্তর চাত্রা পঞ্চায়েতের অন্দরান সিঙিমারিতে কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েকজন বাংলাদেশি। তাঁদেরও আটকে দেয় বিএসএফ। 

    অভিযোগ, এদিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি কয়েকজন বাংলাদেশিকে ভারতের দিকে পাঠিয়ে দেয়। যদিও তাঁরা জিরো পয়েন্ট টপকে আসতেই বাধা দেন বিএসএফ জওয়ানরা। পাল্টা বাংলাদেশের দিকে ফিরতে গেলে আটকে দেয় বিজিবিও। ফলে জিরো পয়েন্টে বসে থাকেন তাঁরা। দুপুরের দিকে বিএসএফ আধিকারিকরা বিজিবি’র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে কোনও মীমাংসা হয়নি। ওই ব্যক্তিরা কোন দেশের বাসিন্দা, তা দু’পক্ষই খতিয়ে দেখবে। আপাতত জিরো পয়েন্টেই রয়েছেন তাঁরা। 

    এদিন সাঙারবাড়ি সীমান্তের পশ্চিম সাঙারবাড়ি ১৩ নম্বর গেটের কাছে ১৬ জন বাংলাদেশি ভারতের দিকে আসছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন মহিলা দু’টি শিশু ছিল। মহিষমুড়ির শালবাড়ি এলাকায় তিনটি জায়গায় মোট আটজন বাংলাদেশি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। দু’টি জায়গায় তিনজন করে ও একটি জায়গায় দু’জন রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন মহিলা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সীমান্তের দিকে আসেন বাংলাদেশিরা। সকালে কাঁটাতার পেরিয়ে যাঁরা জমিতে কাজে গিয়েছিলেন, তাঁরা দ্রুত ফের সীমান্ত গেট দিয়ে মূল ভূখণ্ডে ফিরে আসেন। পরে সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার সহ পুলিস আধিকারিকরা। 

    অপরদিকে, সিতাইয়ের ব্রহ্মোত্তর চাত্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্দরান সিঙিমারিতে কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতের ঢোকার চেষ্টা করেন ১৩ জন বাংলাদেশি। এঁদের মধ্যে ছ’জন পুরুষ, ছ’জন মহিলা ও একটি শিশু রয়েছে। সিতাইয়ের অপর একটি জায়গাতেও ১২ জন ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। সাঙারবাড়ির বাসিন্দা যুগল রায় বলেন, কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে আমরা সকালে কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় বিজিবি কয়েকজন বাংলাদেশিকে জোর করে ভারতের দিকে পাঠিয়ে দেয়। বিএসএফ’কে জানালে তারা বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে দেয়। 

    এ ব্যাপারে মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক বলেন, বাংলাদেশের কিছু মানুষ কাঁটাতার পেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি বিএসএফ দেখছে। আমরাও সমস্ত দিকে নজর রাখছি।
  • Link to this news (বর্তমান)