সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাধা দেওয়ায় চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না। প্রতিবাদে বুধবার বানারহাট ব্লকের চুনাভাটি চা বাগানের উপর লাইনে আন্তর্জাতিক সার্ক রোডের পাশে আমরণ অনশনে বসেছেন এলাকারই বাসিন্দা কুণাল ওরাওঁ।
কুণাল বলেন, পিএইচই’র চামুর্চির পাম্প অপারেটর পদে যোগ দেওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি জয়েনিং লেটার পেয়েছি। এরপর দু’বার কাজে যোগ দিতে গেলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ধনীরাজ তামাং বাধা দেন। এমনকী মারধরও করেন। ফলে কাজে যোগ দিতে না পেরে ফিরে এসেছি। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই এদিন থেকে অনশনে বসেছি। যদিও ধনীরাজ তামাংয়ের দাবি, ওই যুবক মিথ্যে অভিযোগ করছেন।
কুণাল আরও বলেন, চা বাগানের এনওসি নেওয়া হয়েছে। প্রধানের মাধ্যমে জেলা পরিষদ ও পিএইচই’তে আমার নাম গিয়েছে। এরপর আমি জয়েনিং লেটার পেয়েছি। কিন্তু কাজে যোগ দিতে গেলেই আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। হুমকি দিচ্ছেন পঞ্চায়েত সদস্য। কেন আমাকে কাজে যোগ দিতে দিচ্ছেন না, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি পঞ্চয়েত সদস্য তাঁর ভাইকে ওই কাজ দিতে চান। যতদিন পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না, ততদিন অনশন চালিয়ে যাব।
পঞ্চায়েত সদস্য ধনীরাজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কাউকে মারধর করিনি, হুমকি দেওয়া হয়নি। কেন উনি এসব বলছেন জানি না।
অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঙ্গীতা কামির মন্তব্য, এক পদে একাধিক দাবিদার। বিষয়ইট পিএইচই’র নজরে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, পিএইচই’র জলপাইগুড়ির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি কারিগরি বিভাগ দেখবে।