• ৯ কোটিতে শহরে জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী নদীর নবজীবন লাভ
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ত্রিস্তরীয় অপারেশন! ডিসিলটেশন, লাইনিং ও সেতুতে নেটিং। মাত্র দেড় বছরে এমন অপারেশন চালিয়ে শিলিগুড়ি শহরের জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরী নদী দু’টি পুনরুজ্জীবিত করেছে সেচদপ্তরের শিলিগুড়ি ডিভিশন। প্রশাসন সূত্রে খবর, দীর্ঘদিনের জমা পাঁক তুলে দু’টি নদীর প্রায় সাড়ে ১১ কিমি পাড় বাঁধানো হয়েছে। ৩৭টি সেতুর দু’পাশে লাগানো হয়েছে নেট। সার্বিক খরচের পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি টাকা। এতে অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত পুরসভা। ফলে এবার বর্ষায় সংশ্লিষ্ট নদী দু’টির সংলগ্ন ১৪টি ওয়ার্ডে জল জমার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। 

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, দীর্ঘদিনের অবহেলায় নদীগুলি কার্যত বুজে গিয়েছিল। বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে সেচদপ্তরকে দিয়ে নদী দু’টি সংস্কার করিয়েছি। এবার গাছ লাগিয়ে সেগুলির পাড় সাজানোর চিন্তাভাবনা করছি। 

    শিলিগুড়ি শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলির মধ্যে জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরী অন্যতম। যা শহরের অন্যতম দু’টি ‘শিরা’ হিসেবে পরিচিত। পুরসভার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গতবছর মার্চ মাসে সেগুলি সংস্কারে নামে সেচদপ্তর। তারা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সেই কাজ শেষ করেছে। 

    প্রশাসন সূত্রে খবর, আমতলা চয়নপাড়া থেকে এনজেপি যাওয়ার ব্রিজ পর্যন্ত জোড়াপনি নদী বিস্তৃত। সংশ্লিষ্ট এলাকার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে সাত কিমি। আর্থমুভার নামিয়ে নদীবক্ষ থেকে কাদা, আবর্জনা তোলা হয়েছে। নদীর নাব্যতা প্রায় পাঁচ ফুট বাড়ানো  হয়েছে। নদীর দু’পাশের পাড়ও বাঁধানো হয়েছে। আর এই নদীর উপর থাকা ২৪টি সেতুর দু’পাশে বসানো হয়েছে লোহার নেট। এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। 

    একইভাবে সংস্কার করা হয়েছে ফুলেশ্বরী। এই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিমি। নাব্যতা বাড়ানো ও পাড় বাঁধানোর পাশাপাশি নদীর উপরে থাকা ১৩টি সেতুর দু’পাশে নেট লাগানো হয়েছে। এখানে ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। 

    শহরের ১৫-১৭, ১৯-২৪, ৩৪-৩৮ প্রভৃতি ওয়ার্ডের উপর দিয়ে নদী দু’টি বিস্তৃত। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, সেচদপ্তর নদী দু’টিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূমিকা প্রশংসনীয়। যার জেরে গত বছর বর্ষায় ওই ওয়ার্ডগুলিতে বৃষ্টির জল জমেনি। এবারও বর্ষায় জল জমবে না বলেই আশা করছি। তবে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। কেউ যেন বাড়ির জঞ্জাল নদীতে না ফেলেন। সেটা আটকানোর জন্যই সেতুগুলিতে নেট লাগানো হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)