ভুটভুটি চালিয়ে ঝাড়ুর দোকান ভেঙে দেওয়ায় বিবাদ, মারধরে জখম তিন
বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভুটভুটি চালিয়ে ঝাড়ুর দোকান ভেঙে দেওয়ায় বিবাদ। তার প্রতিবাদ করে বেধড়ক মারধর খেতে হল ঝাড়ু বিক্রেতা তিনভাইকে। অভিযোগ এক ভুটভুটি চালক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি জখম দুই ভাই। জখমদের পরিবারের তরফে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস ভুটভুটি আটক করেছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কুশিদা হাটে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাটে রাস্তার পাশে ঝাড়ুর পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের কোণার গ্রামের বাসিন্দা তিনভাই মোজাম্মেল খান, কমরেজ খান এবং করিম খান। অভিযোগ, প্রতিবেশী ঝিকোডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ভুটভুটি চালক হামজু আলি ভুটভুটিতে করে এক ব্যবসায়ীর লোহার যন্ত্রপাতি হাটে রাখতে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে থাকা তিন ভাইয়ের ঝাড়ুর পসরার উপর দিয়ে ভুটভুটি চালিয়ে নিয়ে গেলে কিছু সামগ্রী ভেঙে যায়। প্রতিবাদ করতেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসার পর হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ভুটভুটি চালকের পরিবার সহ কয়েকজন। তিন ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা।
কুশিদা ফাঁড়ির পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ভুটভুটি আটক করে। আহত অবস্থায় তিনভাইকে কুশিদা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে কমরেজ ও করিমকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিতত্সক।
জখম মোজাম্মেল বলেন, রাস্তা ছেড়ে আমরা দোকান দিয়েছিলাম। ইচ্ছাকৃতভাবে ভুটভুটি চালিয়ে দোকান ভেঙেছে। প্রতিবাদ করতেই আমাদের মারধর করে। হামজু দলবল ডেকে আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত হামজু বলেন, রাস্তার উপরে দোকানটি ছিল। একটু সরতে বলেছিলাম। দোকান না সরিয়ে উল্টে আমাকে গালিগালাজ করে। ভুটভুটিটি হাটের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি চাকা ঝাড়ুতে উঠে গেলে আমাকে মারধর করে। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি আছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, দু’পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।