নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: ইংলিশবাজারের যদুপুর কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৬৫টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষদিন। সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তৃণমূল ৬৯টির মধ্যে প্রত্যেকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম এবং কংগ্রেস এদিন মাত্র চারটি আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে। এব্যাপারে ইংলিশবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ বলেন, আমাদের তিনদিন ধরে যদুপুর-১ এবং-২ এর কৃষি সমবায় সমিতির মনোনয়ন জমা নেওয়া হচ্ছিল। ৬৯টি আসনেই আমরা প্রার্থী দিয়েছি। যার মধ্যে ৬৫ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছি।
আগামী ১৫ জুন যদুপুর কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন। তার আগে ৩০ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। ওই দিনই তৃণমূলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৬৫ জন প্রার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
এদিকে সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল ও পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনোনয়ন দাখিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাকিন আলম অভিযোগ করেন, আমরা প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিস, প্রশাসনের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রথম থেকেই বাধা দিচ্ছেন। আমাদের প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রান করা হয়েছে। তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, মালদহ জেলার কৃষি সমবায় নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ করছেন, তা ভিত্তিহীন। জেলায় ১১৮টি কৃষি সমবায় সমিতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮১টিতে নির্বাচন হয়েছে। ৮১টি নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর কি বিরোধীদের ঘুম ভাঙল?