নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, বাগডোগরা: শুধু ব্যাংডুবি নয়, ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ির একাধিক এলাকা রেকি করেছে ধৃত বাংলাদেশি আজিরুল ইসলাম। দু’দিন ধরে ধৃতের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিস ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তারা জানিয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ থেকে ফাঁসিদেওয়া সীমান্ত দিয়ে ‘পাগলের’ ছদ্মবেশে এপারে প্রবেশ করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে চরবৃত্তি করতে সে এসেছে বলে সন্দেহ। সমগ্র ঘটনায় পুলিস, সেনা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোড়ন পড়েছে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এক অফিসার বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটানার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাগডোগরা, ব্যাংডুবি, সুকনা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ধৃত রেকি করেছে। এর থেকেই মনে হচ্ছে সে চরবৃত্তির উদ্দেশ্যে এপারে এসেছে। দু’দিন ধরে সন্দেহভাজন ওই বাংলাদেশি চরের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে পুলিস ও গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর কিছু রিপোর্ট পেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের দিনাজপুরে ধৃতের বাড়ি। ২০ দিন আগে সেখান থেকে সে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রায় ১৫ দিন আগে ফাঁসিদেওয়া সীমান্তের মহানন্দা নদী পেরিয়ে এপারে প্রবেশ করে। এই ক’দিন সে ফাঁসিদেওয়া বাজার, ফুলবাড়ি, মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যা চত্বর, নৌকাঘাট, সুকনা, বাগডোগরা, ব্যাংডুবি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে বেড়ায়। গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকাগুলির তথ্য সে বাংলাদেশে পাচার করত বলেই মনে হচ্ছে। মঙ্গলবার ওই বাংলাদেশিকে ধরে বাগডোগরা থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় সেনাবাহিনী। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃতকে তিনদিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিস। অভিযুক্তকে সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর এলাকা থেকে ধরা হয়েছে। ধৃতের চেহারা মেদহীন। প্রায় ৫ ফুট লম্বা। মুখে একগাল দাঁড়ি। পরনে প্যান্ট ও পাঞ্জাবি। ধৃতের কাছ থেকে বাংলাদেশি নিউজ পেপারের কাটিং সহ কিছু নথি মিলেছে। জেরায় সে অসংলগ্ন উত্তর দিচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।