• ধীরগতিতে কাজ করা এজেন্সিগুলিকে শোকজ করছে কোচবিহার জেলা পরিষদ
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার জেলা পরিষদের অধীনে যে সমস্ত কাজ ধীরগতিতে চলছে, সেই সব এজেন্সিকে শোকজ করা হচ্ছে। যদি এই শোকজের সদুত্তর পাওয়া না যায়, তাহলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। বুধবার কোচবিহার জেলা পরিষদের রিভিউ বৈঠকের পর একথা জানান জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। এদিন জেলাশাসকের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জেলা পরিষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জেলা পরিষদের অধীনে চলা পঞ্চদশ অর্থবর্ষ, পথশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কোন কাজ কী গতিতে কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই উঠে আসে বেশকিছু কাজের অগ্রগতি খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। জেলা পরিষদের নজরে আগে থেকেই বিষয়টি রয়েছে। সেই অনুসারে এজেন্সিগুলিকে শোকজ করা হচ্ছে। কেন কাজ ধীরগতিতে চলছে, তার পিছনে কী কী কারণ আছে, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। জেলা পরিষদের সদস্যরাও কাজের বিষয়গুলি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, জেলায় ৫০টিরও বেশি এজেন্সি জেলা পরিষদের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২০টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন দত্ত। জেলাশাসক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রিভিউ বৈঠক করে কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। বকেয়া যে কাজ রয়েছে, তা নিয়ে এদিন রিভিউ বৈঠক হয়েছে। বর্ষার আগে যত কাজ আছে, তা শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০২৫-’২৬ এ যে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। কাজ আটকে নেই, গতি কম রয়েছে। এর কারণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিছু কিছু এজেন্সি কাজ ধীরগতিতে করছে। তাদের শোকজ করা হচ্ছে।

     ‘শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী’ সম্মান পেলেন দিনহাটার ছেলে অর্পণ ভৌমিক: চাষিদের সমাজ ও অর্থনৈতিক তথ্যভিত্তিক গবেষণা, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং শিক্ষকতার মাধ্যমে কৃষি শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী’ সম্মান পেলেন দিনহাটার গর্ব অর্পণ ভৌমিক। ভারত সরকারের অধীনস্থ ‘ভারতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান’-এর অসম শাখার পক্ষ থেকে ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে তাঁকে। অর্পণবর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের অসম শাখায় অধ্যাপক ও গবেষক হিসেবে কর্মরত। অর্পণ দিনহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে দিল্লির ‘ভারতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ থেকে কৃষি পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন। সর্বভারতীয় স্তরের বাছাই পরীক্ষায় সফল হয়ে কৃষি গবেষণা পরিষেবায় যোগদান করেন ২০১২ সালে। শুরুতে দিল্লির ‘ভারতীয় কৃষি পরিসংখ্যান গবেষণা প্রতিষ্ঠান’-এ কিছুদিন কাজ করার পর ২০২২ সালে অসম শাখায় বদলি নিয়ে আসেন।
  • Link to this news (বর্তমান)