• মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে এবার নতুন করে ৪০০ একর জমি উর্বর করার সিদ্ধান্ত
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: বেশ কয়েক বছর আগে অনুর্বর জমি উর্বর করার জন্য রাজ্য সরকার মাটির সৃষ্টি প্রকল্প শুরু করে। করোনা পরিস্থিতির পর তা নিয়ে নতুন কোনও উদ্যোগ না হলেও ফের এই প্রকল্পের এরিয়া বাড়তে চলেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। জানা গিয়েছে, আটটি ব্লকের মোট আটটি মাটির সৃষ্টি প্রকল্প চলছে। প্রতিটি প্রজেক্টেরই এরিয়া বাড়ানো হবে। নতুন করে ৪০০একর জমি চাষযোগ্য করে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

    রুক্ষ্ম পশ্চিম বর্ধমানের মাটিতে বিকল্প চাষের উপরও জোর দিচ্ছে কৃষিদপ্তর। তারা এবার জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে রাগী চাষ করতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে ১০০হেক্টর জমিতে রাগী বা ফিঙ্গার মিলেট চাষ করা হবে। সাফল্য‌ এ঩লে তা আরও বাড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলা প্রশাসনিক ভবনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠকটি হয় কৃষিদপ্তরের অধীনে থাকা আতমা প্রজেক্ট নিয়ে। যার মাধ্যমে কৃষকদের উন্নত মানের চাষআবাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বৈঠকে জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই চলতি অর্থবর্ষে কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এবার নতুন কী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকছে তা তুলে ধরা হয়। আগামী বছর বিধানসভা ভোট। শিল্পের পাশাপাশি জেলার কৃষকদের নিয়েও রাজ্য সরকার যে বাড়তি উদ্যোগী তা এদিনের বৈঠক থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। পলি মালচিং নামে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে সব্জি চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তার পাশাপাশি রাগী চাষের বিষয়টিও জানানো হয়। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) বৃন্দাবনচন্দ্র রায় বলেন, আমরা এবারই প্রথম জেলায় রাগী চাষ করতে চলেছি। প্রসঙ্গত, এর আগে জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ভুট্টা চাষ করে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল।  জেলার নানা প্রান্তে ভুট্টা চাষ শুরু হয়। এখন দেখার রাগী চাষ কতটা সফল হয়।

    পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আটটি ব্লক ও দু’টি বৃহৎ পুর এলাকা আসানসোল ও দুর্গাপুর রয়েছে। কৃষিদপ্তরের হিসেবে জেলায় ১২টি ব্লক। আটটি গ্রামীণ ব্লক অন্য চারটি পুর এলাকার কৃষিব্লক। এখানে আটটি গ্রামীণ ব্লকে আটটি মাটির সৃষ্টি প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছিল। এদিন তা নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের অধীনে মোট জমির পরিমাণ ছিল এক হাজার একর। সেখানে জমি উর্বর করে, পুকুর কেটে মাছ চাষ করার কাজ হয়। এমনকী ফলের বাগান তৈরি করে অর্থনৈতিক উন্নতি করার চেষ্টা হয়। এবার সেই প্রকল্পগুলির এরিয়া আরও বাড়ানো হচ্ছে। জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, নতুন করে ৪০০ একর জমি মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের প্রজেক্টগুলির অধীনে আসবে। - প্রতীকী চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)