• পানীয় জলের সঙ্কট কাটাতে ৫৪ কোটির প্রকল্প শুরুর পথে দুবরাজপুর পুরসভা
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: প্রায় ৫৪ কোটি টাকা খরচে অম্রুত ২.০ প্রকল্পের অধীনে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হবে দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায়। সেক্ষেত্রে শহরে নতুন করে আরও দু’টি রিজার্ভার তৈরি করা হবে। পুরসভার দাবি, অম্রুত ২.০ প্রকল্প বাস্তব রূপ নিলে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। শহরের একজন বাসিন্দাকেও জলকষ্টে ভুগতে হবে না।

    বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে কিছু বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়। কিন্তু, অধিকাংশ বাড়িতেই পানীয় জল আসে না। ফলে বাসিন্দাদের রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপের উপর ভরসা রাখতে হয়। শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়েশ্বর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ আজও পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। অভিযোগ, রাস্তায় ট্যাপ থাকলেও জল অমিল। ফলে প্রায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরিস্রুত পানীয় জল নিয়ে আসতে হয়। ঘটনায় পুরসভার ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

    যদিও পুরসভার দাবি, শহরের সর্বত্রই পরিস্রুত পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করা হবে। সেইসঙ্গে আগামীতে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অম্রুত ২.০ প্রকল্পের অধীনে সেই কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে টেন্ডার করা হয়েছে। তবে, বাস্তবে কবে শহরের প্রতিটা বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছবে তা অবশ্য প্রশ্নাতীত। 

    দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় মোট ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। সবক’টি ওয়ার্ড মিলিয়ে শহরে প্রায় ১৩ হাজার বসতবাড়ি রয়েছে। বর্তমান সময়ে মোট বসতির ৩০ শতাংশ বাড়িতে পুরসভার তরফে পরিস্রুত পানীয় জলের পাইপলাইন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, পিএইচই ও আর্বান ইনফাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট স্কিম ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম টাউনস প্রকল্পের মাধ্যমে মোট তিনটি রিজার্ভারের সাহায্যে ওই বাড়িগুলিতে জল পৌঁছায়। এছাড়াও শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় থাকা ট্যাপ কলগুলিতেও ওই রিজার্ভারগুলি থেকেই পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। যদিও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত পাহাড়েশ্বরের প্রায় ৫০টি পরিবার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় একাধিক ট্যাপ থাকলেও পানীয় জল মেলে না। তীব্র গরমে দীর্ঘ পথ হেঁটে পানীয় জল আনতে হয়। 

    আদল দাস ও নীলকন্ঠ দাস বলেন, এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ট্যাপ বসানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে জল নেই। প্রতিদিনই প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে জল আনতে হয়। আমরা যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে রয়েছি। পুরসভার তরফে দ্রুত পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হলে খুব ভালো হয়। 

    পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে বলেন, কোনও ট্যাপ খারাপ হয়ে থাকলে তা দ্রুত সংস্কার করা হবে। বর্তমানে ৩০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছয়। এছাড়াও প্রতিটি এলাকায় রাস্তার ধারে ট্যাপ রয়েছে। তবে, আমরা ১০০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে দিতে সচেষ্ট। সেই লক্ষ্যে অম্রুত ২.০ প্রকল্পের আওতায় দ্রুত কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে টেন্ডার করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)