সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মুরারইয়ের রাজগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে নাকাল হতে হয় মানুষকে। কারণ, বেহাল রাস্তা। অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। দিন কয়েকের বৃষ্টিতে সেই খানাখন্দে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। গাড়ি চালানো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বছরের অন্য সময় ধুলো উড়লেও যাওয়া আসা করা যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে তাও করা যায় না। সমস্যা বেশি হয় গর্ভবতীদের। কিন্তু সেই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে মুরারই পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসেবেই পরিচিত। মানুষ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরেই ভরসা করেন। কিন্তু রাজগ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মানুষকে যেতে হয় জীবন হাতে নিয়ে। রাজগ্রাম থেকে মোহনপুরগামী রাস্তার উপর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যার মধ্যে রাজগ্রাম থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত তিন কিমি অংশ বেহাল। এর মধ্যে রাজগ্রাম থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত এক কিমি রাস্তা চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। রাস্তার জায়গায় জায়গায় খানাখন্দে জল জমে ডোবার চেহারা নিয়েছে। তার মধ্যেই পাথর বোঝাই ভারী গাড়ি চলছে। এলাকার বাসিন্দা সাদেকুল শেখ জানান, অন্য সময়ে ধুলোর চোটে রাস্তায় হাঁটাচলা করা দায় হয়। আর এখন গোটা রাস্তা যেন মরণফাঁদ। সব থেকে সমস্যা বেশি গর্ভবতী মহিলাদের। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় গাড়িতে চেপে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে খুবই কষ্ট হয় তাঁদের। রাতের দিকে প্রসব যন্ত্রণা উঠলে সমস্যা আরও বাড়ে। গোটা রাস্তা অন্ধকারে ডুবে থাকে। তখন ঠিকমতো হাঁটাই যায় না। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিস্তীর্ণ এই এলাকার মানুষকে নিত্যদিন এই রাস্তা ব্যবহার করে রাজগ্রাম পঞ্চায়েত, বাজার, স্কুল, মুরারই কলেজ ও বিডিও অফিসে যেতে হয়। প্রায়ই টোটো উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। জখম হচ্ছেন যাত্রীরা। কয়েকমাস আগে বিয়ের দিনই এই রাস্তার ব্রাহ্মণডাঙার কাছে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাকির শেখ নামে এক যুবকের। তখন পিডব্লুডির অধীনে থাকা এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ পথ অররোধ করা হয়। সেই সময় স্থানীয় নেতৃত্ব ও পুলিস দ্রুত রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলেও আজ তা হয়নি।
পিডব্লুডির জেলা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ বড়াই বলেন, রাজগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত এক কিমি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দু’ কোটিরও বেশি টাকার প্রজেক্ট রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে। তবে খুব দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত এক কিমি রাস্তার প্যাচ রিপিয়ারিং হবে। -নিজস্ব চিত্র