ভাড়ার ফ্ল্যাট অনুপ্রবেশকারীদের ডেরা? দুই বাংলাদেশী ধরা পড়তেই উঠছে প্রশ্ন
বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বহুতল আবাসন। সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। আবাসিকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা চেপে ধরেন। ঘোলা থানার পুলিস এসে তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে পানিহাটি পুরসভা এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃতদের নাম আবু তাহের মোল্লা ও আসমা খানোম। তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই রহড়া থানা এলাকা থেকে পুলিস তিন বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁরা বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের নেতা হিসেবে পরিচিত।
পানিহাটির বিবেকানন্দ পার্কের একটি আবাসনে রিয়া রায় নামের এক মহিলার ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি অদিতি পাত্রকে তা ভাড়ায় দিয়েছিলেন। কিন্তু আবাসিকরা দেখেন, ফ্ল্যাটে অদিতি পাত্র মাঝেমধ্যে আসেন। তবে বহিরাগতদের ভিড় লেগেই থাকে। ঘরের বাইরে প্রচুর জুতো। সম্প্রতি নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় অদিতি পাত্রকে তাঁরা অভিযোগও জানিয়েছিলেন। যদিও তিনি উল্টে আবাসিকদের কটাক্ষ করেন। তিতিবিরক্ত আবাসিকরা ফ্ল্যাটের মালিককেও বিষয়টি জানান। তাতেও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বহিরাগতদের দেখে আবাসিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ঘোলা থানায় খবর দেওয়ার পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিস এসে ওই ঘর থেকে দুই বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পুলিস জেনেছে, ধৃতরা গত মাসে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছিল। পানিহাটির আবাসনে ছিল সেফ প্যাসেজের অপেক্ষায়। ধৃতদের জেরা করে পুলিস এই চক্রের পাণ্ডাদের খোঁজ শুরু করেছে। পুলিস ওই ফ্ল্যাট ভাড়ায় নেওয়া অদিতি পাত্রকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আবাসিকদের দাবি, আরও বহু মানুষ ওই ফ্ল্যাটে আসত। ফ্ল্যাট থেকে বহু বাংলাদেশী দেশের অন্যত্র গিয়েছে বলে অনুমান আবাসিকদের। ঘোলা থানার পুলিস জানিয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চলতি মাসের প্রথমে রহড়া থানা মজনু গাজি, মহম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিশ আলি ও মেহেদি হাসানকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছিল, ধৃতরা আওয়ামি লিগ ও তাঁদের ছাত্র সংগঠন যুবলিগের নেতা। গত আগস্ট মাসে আওয়ামি সরকার পতনের পর তাঁরা প্রাণভয়ে এরাজ্যে ঢুকেছিলেন। এরপর রহড়া এলাকার ভাড়া বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন।