সংবাদদাতা, বসিরহাট: প্রকাশ্যে এল টাকি পুরসভার ‘দুর্নীতি’। খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিরোধীরা কোমর বেঁধে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। জানা যায়, গত ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে টাকি পুরসভার বড়বাবু প্রবীর চট্টোপাধ্যায়র অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ঢোকে। দীর্ঘদিন ধরে এই টাকার ব্যাপারে বিরোধী এবং শাসক দলের নেতৃত্ব কিছু জানতেন না বলে দাবি করা হয়েছে। হঠাৎ অডিট রিপোর্ট সামনে আসতেই প্রকাশ্যে আসে এই প্রবীরবাবুর নাম। এরপর শাসকদলের কাউন্সিলার থেকে শুরু করে বিরোধী কাউন্সিলাররা হতবাক হয়ে যান। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, নিয়মমাফিক টাকা এসেছিল আমার অ্যাকাউন্টে এবং চেয়ারম্যানের ও অন্যান্য আধিকারিক সহ কাউন্সিলারদের মাধ্যমে তা সঠিকভাবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এলাকায় উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। সেটিই অডিট রিপোর্টে দেখানো হয়েছে। চেয়ারম্যান সব জানেন। সঙ্গে দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই। এই বিষয় টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে ওই টাকার কাজ করা হয়েছে তার তথ্য প্রমাণ সব পুরসভায় আছে। দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই। তবে যে বিষয়টি ছড়াচ্ছে এটি বিরোধীদের চক্রান্ত। এই বিষয়ে বসিরহাট জেলার বিজেপির যুব সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। সেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলরাই বলুন, চেয়ারম্যান বলুন অথবা সরকারি আধিকারিক— সবাই যুক্ত। আমরা চাই, সঠিকভাবে এই দুর্নীতির