শরীরের উপরের অংশ মানুষের মতো, নিম্নাংশের আকৃতি যেন মাছের লেজ! বর্ধমানের হাসপাতালে জন্ম নিল 'মৎস্যকন্যা'...
আজকাল | ২৯ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরলদর্শনের এক শিশুকন্যার জন্ম হল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। কাটোয়া থানার করজগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলাকে মঙ্গলবার সন্ধেয় ভর্তি করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। রাত একটা নাগাদ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এতদীর পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও, ওই নবজাতককে দেখার পরেই চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাজ্জব হয়ে যান।
কাটোয়া হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল অস্ত্রোপচার করেন ওই প্রসূতির। তিনি বলেন, "আমি আমার ৩৩ বছরের কর্মজীবনে এই ধরনের শিশুর জন্ম দেখিনি। এই ধরনের শিশুকে 'মারমেড বেবি 'বলে। এটি বিরলতম ঘটনা।"
জানা গিয়েছে, শিশুকন্যাটির দেহের উপরিভাগ মানব শরীর হলেও কোমরের নিচ থেকে পা দু' টি জোড়া লেগে মাছের ল্যাজের মত দেখতে। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এস এন সি ইউতে রেখে বিশেষ চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ভোরের দিকে শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, 'রূপকথা বা গ্রীক গল্পে এই মৎসকন্যাদের কথা শোনা যায়। এই ধরনের শিশুদের অস্ত্রোপচার করে বাঁচানো যায় না। তবুও আমরা চেষ্টা করছি। আমার ৩৩ বছর চিকিৎসক জীবনে আমি প্রথম দেখলাম। মারমেড বেবি ' বা 'মৎসকন্যা শিশুর' কোমরের নিচে থেকে দুই পা একসাথে জোড়া। শরীরের নিন্মাংশের আকৃতি অনেকটা মাছের লেজের মতন। তাই এমন নাম। এই ধরনের শিশুর জন্ম বিরলতম ঘটনা। সাম্প্রতিককালে কাটোয়া তথা জেলায় মারমেড বেবির জন্মের নজির নেই।'
চিকিৎসকরা জানান মারমেড বেবি সবসময়ই ফিমেল হয়। বেশিক্ষণ বাঁচে না। এই ঘটনায় মা সুস্থ রয়েছেন। তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।