আগামী ৩০ মে রাজ্যের স্কুলগুলিতে নতুন করে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। মঙ্গলবারই এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তবে এই মামলা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট।
এ দিন বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি বর্তমানে শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বেঞ্চ হস্তক্ষেপ করবে না।
উল্লেখ্য, এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। নতুন নিয়োগের জন্য ৩১ মে–র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই ৩০ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। আবেদনকারী শিক্ষকদের বক্তব্য ছিল, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা স্কুলে ঢুকতে পারছেন না। নতুন যে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেখানেও তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে আদালতের কাছে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও আবেদনকারীদের আর্জি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এর আগে ওএমআর শিট বিকৃতি ও র্যাঙ্ক জাম্পের অভিযোগে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের একাংশ। সেই আবেদনেও সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।