এলাকার মেয়ে। চেনা মুখ। বাবা প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ। ‘লাল সাহেব’এর মেয়ে। এইটুকু পরিচয় যথেষ্ট। কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে। আলিফা আহমেদ বলেন, আমি কালীগঞ্জের মেয়ে। এখানকার সবার মেয়ে। চাকরি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি একশো শতাংশ কালীগঞ্জের জন্য দিতে। এখানকার মানুষদের জন্য। সংগঠনের অংশ হতে চাই। আমি দলের কর্মী। আমি কালীগঞ্জের প্রার্থী নই, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই আলিফা নেমে পড়েছেন ভোট প্রচারে। সেরেছেন কর্মীসভা। কর্মীসভায় গিয়ে দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। এমনকি তাঁর পাশে কর্মী, সমর্থকদের দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধও করেছেন। বুধবারও সকাল থেকে বিধানসভা এলাকায় সেরেছেন প্রচার। হাতে সময় কম। তাই দলের কর্মীদের বুথে বুথে প্রচার করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি নিজেও প্রতিটি বুথে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। আলিফা আহমেদ বলেন, যেহেতু উপনির্বাচন, হাতে সময় কম। প্রতিটি বুথে যাবো। এছাড়া কর্মীদের প্রতিটি বুথ, অঞ্চলে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে।
প্রার্থী হওয়ার পর প্রয়াত বাবা নাসিরউদ্দিন আহমেদের অসমাপ্ত কাজ ভোটে জিতে সবার আগে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আলিফা। তিনি বলেন, বাবার অসমাপ্ত, অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করবেন। বাবা সবাইকে নিয়ে চলতেন। বাবা যেভাবে কাজ করেছেন তিনিও সেইভাবে কাজ করবেন।
তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করলেও এখনো পর্যন্ত বিজেপি বা বাম কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। যদিও তৃণমূলের প্রার্থী ‘লাল সাহেবে’র মেয়ে প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবতে নারাজ। আলিফা আহমেদ বলেন, প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবতে চাই না। আর এই মুহূর্তে আমার প্রতিপক্ষ বিজেপি ছাড়া অন্য কাউকে দেখছি না। তিনি বলেছেন, আমার ইতিহাস ভুলে যান। আমি নতুন শুরু করছি। আমাকে সুযোগ দিয়েছে দল। এই জয় তাঁর হবেই।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জে বিজেপিকে হারিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। ৫২ শতাংশ ভোট ছিল শাসক দলের ঝুলিতে। বিরোধীদের ঝুলিতে মাত্র ৩০ শতাংশ। সেই নিরিখে কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ‘লাল সাহেবে’র উচ্চশিক্ষিতা কন্যা, এলাকায় পরিচিত, এলাকার মেয়ে আলিফা অনেকটাই যে এগিয়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।