বিধান নস্কর, দমদম: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তরবঙ্গে সফরে নেই দিলীপ ঘোষ। ডাকই পাননি। কেন? রাজ্য বিজেপি নেতারা কি তাঁকে ব্রাত্য করতে চাইছেন? বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন সাংসদ।
আজ দুপুরে আলিপুরদুয়ারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেখানে থাকবেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। তবে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তাঁর? সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলীপের দাবি, “উত্তরবঙ্গের কর্মসূচি আছে ওখানকার কর্মীরা থাকবে। কলকাতা যখন আসবে আমরা থাকব। যাঁরা পদাধিকারী আছে, তাঁদের প্রোটোকল থাকে, তাঁদের থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে।” একইসঙ্গে তাঁর ‘আক্ষেপ’, “আমি কোনও পদাধিকারী নই। আমি সাধারণ কর্মী। এখানে যখন আসবেন তখন যাব।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল দিলীপের। চব্বিশের লোকসভা নির্বাটনে আসন বদলের পর সেই দূরত্ব আরও বাড়ে। এরপর তাঁর বিয়ে এবং দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে ‘গল্পগুজব’ ফাটল আরও চওড়া করেছে। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষকে। এমন পরিস্থিতিতে মোদির অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়া কি সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? দলের রাজ্য নেতারা কি দিলীপ ঘোষকে ব্রাত্য করতে চাইছে? প্রশ্নের জবাবে নিজস্ব মেজাজে ব্যাট চালান দিলীপ। বলেন, “কে করল, কে করল না, তাতে কিছু যায় আসে না। আমাকে পার্টি যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি।” তাঁর আরও সংযোজন, “দল আমাকেও মর্যাদা দিয়েছে, পদ দিয়েছে। নির্বাচন শেষ হয়েছে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে গোটা দেশে কমিটি তৈরি হচ্ছে। নতুন কমিটিতে কে কোথায় জায়গা পায় দেখে কাজ হবে। আবার পার্টি যদি আমায় দায়িত্ব দেয় তাহলে দায়িত্ব পালন করব।”
তবে দিলীপ ঘোষে পদের দোহাই দিয়ে যতই বিষয়টিতে হালকা করার চেষ্টা করুন না কেন, দলের অন্দরেই অন্য় সুর শোনা যাচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব যে শত যোজন, তা এদিনের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।