শখেই বাজিমাত, তথ্যচিত্র বানিয়ে জাতীয়স্তরের একাধিক পুরস্কার ব্যাঙ্ক কর্মীর ঝুলিতে...
আজকাল | ২৯ মে ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা। কাজ করেন ব্যাঙ্কের উচ্চপদে। কিন্তু গোড়া থেকেই ছিল ইতিহাসের প্রতি টান। তাই সময় পেলেই ছুটে বেড়িয়েছেন ইতিহাসের খোঁজে। নিছক জানার চেষ্টা বা শখ বলাই যায়। এবার সেই শখের বসে চন্দননগরের অনির্বাণ সাহার তৈরি ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্যর তথ্যচিত্র সারা ফেলল দেশের দরবারে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদে অনুষ্ঠিত আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হয় তাঁর তৈরি 'জানা-অজানা বিষ্ণুপুর' তথ্যচিত্র।
আওরঙ্গবাদের মৌলানা আজাদ গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁর তৈরি তথ্যচিত্র একাধিক বিভাগে নির্বাচিত হয়। অনির্বাণের তথ্যচিত্র পায় মোট ১৩টি পুরস্কার। চন্দননগর মরান রোড এলাকার মণ্ডল বাগানের বাসিন্দা অনির্বাণ সাহা। ছেলেবেলা থেকে তাঁর পড়াশোনা চন্দননগরে। পেশায় তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী। কর্মরত কলকাতায় ব্যাঙ্কের হেড অফিসে। ব্যাঙ্কে কাজ করলেও, আগাগোড়াই তাঁর টান ছিল ইতিহাস ও ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি। ইতিহাস নিয়ে বইও লিখেছেন।করোনাকালে প্রথম তিনি চন্দননগরের ইতিহাস, স্বাধীনতা আন্দোলন, মন্দির ও স্থাপত্য নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। সহকর্মী কৌশিক ভক্তর উৎসাহে তথ্যচিত্রের চিন্তাভাবনা মাথায় আসে। বানিয়ে ফেলেন একাধিক তথ্যচিত্র।
তিনি তৈরি করেছেন চন্দননগরের সামগ্রিক ইতিহাস নিয়ে ১৭ পর্বের তথ্যচিত্র। এছাড়াও 'চন্দননগর দর্পণ', 'কালের আয়না গড়পঞ্চকোট', 'পাকবিড়রা দ্য আর্কলজিক্যাল ভিলেজ', 'পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য ও মুখোশ গ্রাম' এবং 'জানা-অজানা বিষ্ণুপুর' রয়েছে তালিকায়।
গত ২৫ মে রবিবার মহারাষ্ট্রে আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিম ফেস্টিভ্যালে তাঁর তৈরি 'জানা-অজানা বিষ্ণুপুর' তথ্যচিত্র পুরস্কৃত হয়। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন মহাদেশ থেকে এক হাজারটির বেশি চলচ্চিত্র অংশ নিয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন ভারত, জাপান, কানাডা, স্পেন ও ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিরা। পুরস্কার পেয়ে তথ্যচিত্রের পরিচালক অনির্বাণ সাহা বলেছেন, এই পুরস্কার তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছে। আগামীদিনে আরও ভাল কাজ করার উৎসাহ মিলবে। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছে তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা দাস সাহা, সহকর্মী কৌশিক ভক্ত এবং একাধিক ব্যক্তিত্ব। এরপর আরও ভাল কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।