দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরে ১১৬ বি জাতীয় সড়কে অটোকে সজোরে ধাক্কা মারল ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল পাঁচজনের। আহত হয়েছেন তিনজন। তাঁরা তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ। যদিও ট্রাকচালক ও খালাসি পলাতক। বৃহস্পতিবার পাঁচ জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন কাঁথির রঘুরামপুরের অটোচালক শেখ জাহাঙ্গির আলি (৩২)। বাকি চার জন কাঁথির চালতি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন শেখ মতি (৪৬), তাঁর মেয়ে মুনমুন খাতুন (১৯), ফাসানা বিবি (২৯) এবং হুমেরা বিবি (৩৫)। বুধবার রাতে ১১৬ বি জাতীয় সড়কের উপর ইড়িঞ্চি ব্রিজের কাছে নন্দকুমারগামী একটি অটোকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। রাস্তার উপরেই অটোটি উল্টে যায়। অটোতে মোট ৮ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে তিনজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। খবর যায় পুলিশেও। আহত তিনজনদের উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খেজুরি থানার ওসি পলয় চন্দ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে। সকলেই দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন। তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। ঘাতক ট্রাকের চালক ও খালাসির তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বৃষ্টি পড়ছিল। সেই সময় দিল্লি থেকে দুই বোন তাঁদের পরিবার নিয়ে মেচেদা স্টেশনে নামেন। তাঁদের বাপের বাড়ি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি এলাকায়। সেখানে যাওয়ার জন্য একটি অটো ভাড়া করা হয়। দুই বোনের পরিবারের ৮ জন এবং চালক মিলিয়ে মোট ৯ জন ছিলেন। ইড়িঞ্চি ব্রিজের কাছে আসতেই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে নন্দকুমারগামী অটোটিকে।