আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদ-মালদহর ঘটনায় সরব প্রধানমন্ত্রী, 'মণিপুর' মনে করাল তৃণমূল
প্রতিদিন | ২৯ মে ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ-মালদহর ঘটনায় সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে তাঁর আক্রমণ মুর্শিদাবাদ-মালদহে যা হয়েছে সেটা এখানকার সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। জনসভা থেকে এভাবেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করায় পালটা দিতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা মণিপুরের অশান্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে পালটা দিয়ে তারা লিখেছে, ‘আইন-শৃঙ্খলা? মণিপুর দুই বছর ধরে জ্বলছে। আগে সেখানকার সমস্যার সমাধান করুন।’
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে একটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তারপরই সরকারি মঞ্চের পাশেই একটি মঞ্চে জনসভা করেন তিনি। সেখানেই মুর্শিদাবাদ ও মালদহের প্রসঙ্গ উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ-মালদহে যা হয়েছে সেটা এখানকার সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। মা-বোনের পুঁজি নষ্ট হয়েছে। তোষণের নামে গুন্ডাদের পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হয়েছে।” প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী এহেন দাবি করার পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পালটা দিয়েছে তৃণমূল। সামাজিকমাধ্যমে দলের তরফে পোস্ট করা হয়, ‘আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? প্রায় দুই বছর ধরে মণিপুর জ্বলছে। সেখানকার সমস্যা সমাধান করুন।’ উল্লেখ্য, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনজারি রয়েছে। ঝামেলার জেরে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার নেই সেই ওই রাজ্যে।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ। পুলিশ ও বিএএসএফ পরিস্থিতি সামাল দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশে আধাসেনাও নামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তিনি হিংসার বিরুদ্ধে, হিংসা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন একাধিকবার।