রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) জোড়া সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আর প্রত্যাশামতোই প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় তাঁর নিশানায় রাজ্যের শাসকশিবির। তৃণমূল সরকারকে ‘দুর্নীতি’ বাণে লাগাতার বিদ্ধ করে চলেছেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে এবার মোদির আক্রমণ আরও ঝাঁজাল। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ”বাংলায় শিক্ষা দুর্নীতির কারণে, শিক্ষকের অভাবে লক্ষ-লক্ষ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। এরা এখনও নিজেদের ভুল মানতে রাজি নয়। উলটে আদালতকে দোষী করছে! সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত মানতে চাইছে না।” তবে মোদির এহেন দুর্নীতি-বাণের পালটা শাসকশিবিরের হাতিয়ার NEET কেলেঙ্কারি এবং দেশের বেকারত্বের হার। এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘যুব সম্প্রদায়ের কথা বলছেন? NEET কেলেঙ্কারি, প্রশ্ন ফাঁস, ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব ? এসব তো বিজেপিরই অবদান।’
বঙ্গ সফরের আগেই বাংলার তৃণমূল সরকারকে সোশাল মিডিয়ায় আক্রমণ শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দুর্নীতি ইস্যু তুলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন মোদি। আর বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভা থেকে সেই একই প্রসঙ্গে আক্রমণ শানিয়ে তুললেন। তাঁর কথায়, ”শিক্ষা দুর্নীতিতে হাজার হাজার শিক্ষক রাতারাতি বেকার হয়েছেন। তাঁদের পরিবারে ঘোরতর সমস্যা নেমে এসেছে। অথচ নিজেদের ভুল এখনও মানতে চাইছে না তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়েও আপত্তির কথা বলছে তারা। এদিকে, শিক্ষকের অভাবে বাংলার লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। একটা সময় বাংলা ছিল দেশের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। বিজেপি এলে ফের সেই গৌরব ফিরিয়ে আনবে।”
আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হতে না হতেই সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পালটা জবাব দিতে দেওয়া শুরু করে তৃণমূল। বাংলার বিরুদ্ধে তোলা তাঁর প্রতিটি অভিযোগ খণ্ডন করতে দেশের একাধিক সমস্যার কথা তোলে ঘাসফুল শিবির। প্রধানমন্ত্রী যদি শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন, তাহলে তাঁকেও চোখে আঙুল দিয়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতি দেখিয়ে দেওয়া দরকার বলে এক্ষেত্রে মনে করেছে শাসকদল। আর তাই NEET কেলেঙ্কারি, প্রশ্ন ফাঁস এবং দেশের ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের কথা তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলের খোঁচা, এসব তো দেশের ছাত্র, যুবদের বিজেপির উপহার।
এনিয়ে দুপুরে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ”বলেছি তো, চাকরিহারাদের জন্য ব্যবস্থা করব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই করব। তাঁরা আমাদের উপর ভরসা রাখছেন। বারবার কথা বলেছেন। আপনি এসব বললে তো হবে না যে শীর্ষ আদালতের কথা মানছি না।”