সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পালটা পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেখানে হিন্দু নিধনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। বাংলার তৃণমূল সরকারও লাগাতার এর নিন্দা করেছে, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সেনার প্রশংসা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরও বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে বাংলার তৃণমূল সরকারকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সভা শেষের পরই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে অপারেশন সিঁদুরের মতো ‘অপারেশন বাংলা’র কথা উল্লেখ করেছেন। তারই কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন, ”চ্যালেঞ্জ করছি, আমরা ‘অপারেশন বাংলা’র জন্য তৈরি। কালই ভোট করুন। দেখা যাবে।” তাঁর আরও চ্যালেঞ্জ, ”বাংলার ক্ষমতা কখনও বিজেপির হাতে যাবে না। কারণ সাংস্কৃতিক পার্থক্য।”
নির্বাচনের আগেই ‘পরিযায়ী পাখি’র মতো বারবার দিল্লির বিজেপি নেতা, মন্ত্রীরা বাংলায় আসেন প্রচার করতে, এই অভিযোগ বারবারই শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। এমনকী মোদির আলিপুরদুয়ার সফরের আগেও সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল ‘পরিযায়ী’ তোপ দেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও টেনে আনলেন সেই প্রসঙ্গ। বললেন, ‘‘আপনাকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। আজ বাংলা নিরাপদ বলে আপনি ঠিক নির্বাচনের আগে এখানে আসেন। আসেন বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাতে, কুৎসা রটাতে, ষড়যন্ত্র করতে। এতদিনেও মণিপুর গেলেন না কেন? আপনার তো আগে ওখানে যাওয়া উচিত ছিল।’’ সবমিলিয়ে, বৃহস্পতিবার বাংলার বুকে মোদির জোড়া সভা আর মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের মেজাজে স্পষ্ট, ছাব্বিশের নির্বাচনের রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েই গেল।