অনলাইনে ছুরি কিনল ছেলে, সেই ছুরি দিয়েই হত্যা করল বাবা মাকে
আজকাল | ৩০ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবা মাকে নৃশংসভাবে খুনের পর বনগাঁয় গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবীর ওরফে আশিক কেন এই কাণ্ড ঘটালো তা এখনও পরিষ্কার নয় তার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের কাছে। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫) খুন হন। ঘটনার পরেই তাঁদের পুত্র হুমায়ুন নিখোঁজ হয়ে যায়।
শেষপর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থেকে তাকে ধরা হয়। সেখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইতিমধ্যেই মেমারি থেকে পুলিশের একটি দল গিয়েছে বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, বাবা মাকে খুনের পর সে বনগাঁয় যায় এবং পরবর্তী সময়ে সেখানে ওই ঘটনা ঘটায়। তার আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয় কেন হুমায়ুন তার বাবা মাকে এভাবে খুন করল। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে একটা সময় দিল্লিতে থাকত হুমায়ুন। বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে।
কিছুদিন আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকায় তাকে নিজেদের কাছে নিয়ে আসেন তার বাবা মা। হুমায়ুনের এক ভাই সৈয়দ মহম্মদ জানিয়েছেন, ছোট থেকে কখনও অভাবের মুখ দেখতে হয়নি হুমায়ুনকে। যথেষ্ট সম্পত্তির মালিক হুমায়ুন লেখাপড়াতেও ভালো ছিল। সবাই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন হঠাৎ সে বনগাঁয় কেন গেল! এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলি জানান, ঘটনার আগের রাতেও বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে গিয়েছিল হুমায়ুন। অন্য নামাজিরা শুনেছেন, তার কাছে ছুরি ছিল।
যেটা সে অনলাইনে কিনেছিল। বাসিন্দাদের সন্দেহ, ওই ছুরি দিয়েই সে বাবা মাকে হত্যা করেছে। অথচ বাইরে থেকে তাকে দেখে কিছু বোঝার উপায় ছিল না। ল্যাপটপে পড়াশোনা নিয়েই থাকত। একা একাই ঘরে বসে থাকত। হতে পারে বাবা তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করাতেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হুমায়ুনের পরিবার সাধারণত কারুর সঙ্গে মিশত না। কিন্তু শেষপর্যন্ত হুমায়ুন যে এতবড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা কল্পনাতেও আনেননি তার প্রতিবেশীরা।