কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত বিধায়কের কন্যা আলিফা আহমেদ। তবে বিরোধীদের তরফে কেউই এখন প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। তৃণমূল প্রার্থী যেখানে প্রচারে ঝড় তুলছেন, সেখানে প্রার্থী ঘোষণা তো দূর, বিরোধী বাম-কংগ্রেসের জোট হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, কালীগঞ্জে সিপিএম প্রার্থী দিতে চায়। কংগ্রেসের কাছে সমর্থন চেয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ফোন করেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। তবে সেই প্রস্তাবে নিমরাজি বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম মঙ্গলবার জানান, ওখানে সিপিএম প্রার্থী দেবে। সিপিএম প্রার্থীকে সমর্থনের প্রস্তাব রাখা হবে কংগ্রেসের কাছে। এরপর বিমান বসু ফোন করেন প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। বিমান বসু জানান, আসন্ন কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীকেই সমর্থন দিক কংগ্রেস। এরপর বিধান ভবনে বৈঠকে বসেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, শুভঙ্কর সরকার ও অমিতাভ চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন প্রস্তাব মেনে শুভঙ্কর সরকার জোটে রাজি হননি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘জাতীয় স্তরে দলের গুরুত্বে কথা মাথায় রেখে একা লড়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ প্রদীপবাবুর অনুরোধ মেনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ফোনে কথা বলেন বিমান বসুর সঙ্গে। কংগ্রেস নিজেদের প্রার্থী দিয়ে লড়াইয়ে থাকবে বলে জানিয়ে দনে তিনি। ফলে জোটের বিষয়টি আপাতত ঝুলে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পরিবর্তনের হাওয়ায় ২০১১ সালে ‘লাল দুর্গ’ কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। ২০১৬ সালে এখানে হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালে ফের পুরনো প্রার্থী নাসিরুদ্দিন আহমেদকে লড়াইয়ের ময়দানে এনে জয়ের স্বাদ পায় তৃণমূল। সেবার কালীগঞ্জ আসন থেকে ৫৩.৩৫ শতাংশ ভোট পান নাসিরুদ্দিন আহমেদ। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩০.৯১ শতাংশ ভোট। ফলে ব্যবধানটা ছিল অনেকটাই। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন। এবারের উপনির্বাচনে সেই ব্যবধান বাড়াতে চান তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদ।