• কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন বানারহাট বাগানে গেট মিটিং প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিনই
    বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
  • সৈয়দ নিজাম, নাগরাকাটা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলিপুরদুয়ারে জনসভা করতে আসার দিনই ক্ষোভ আছড়ে পড়ল চা শ্রমিকদের মধ্যে। ডুয়ার্সে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বানারহাট চা বাগানের শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির দাবিতে গেট মিটিং করলেন বৃহস্পতিবার। বাগানের গেটে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএমের চা বাগান মজদুর ইউনিয়ন। বকেয়া মজুরি, পিএফ, গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুবিধা আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন চা শ্রমিকরা। 

    এদিন আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী সভা করেন। এদিনই সকাল ১০টা নাগাদ শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, স্টাফ, সাব স্টাফদের দু’মাসের বকেয়া বেতন সহ নানা দাবিতে বানারহাট বাগানে গেট মিটিং করে মজদুর ইউনিয়ন। সংগঠনের বানারহাট ব্লক সম্পাদক অজয় মাহালি বলেন, এর আগে নরেন্দ্র মোদি ডুয়ার্সে এসে বলেছিলেন প্যাকেজ দেবেন। কিন্তু কোথায় দিলেন তিনি? উল্টো শ্রমিকদের বকেয়ার পাহাড় জমছে, স্টাফ, সাব স্টাফরা মাইনে পাচ্ছেন না। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি চা বাগানকে বাঁচাতে একটি প্যাকেজে নিয়ে আসার দাবি রেখেছি। 

    বানারহাটে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চারটি বাগান। এগুলি হল— চুনাভাটি, কারবালা, নিউ ডুয়ার্স ও বানারহাট। এই চার বাগানে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক। বকেয়ার দাবিতে সম্প্রতি চার বাগানের শ্রমিকরাই একজোট হয়ে চামুর্চি মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন। এবারও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন বাগানের দুর্দশা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। চার বাগানের শ্রমিকরা আশায় ছিলেন, এবারে প্রধানমন্ত্রী ডুয়ার্সে এসেছেন। নিশ্চয় কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা বাগানগুলি নিয়ে একটা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন। কিন্তু দেখা গেল ভাষণে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে গেলেন। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ শ্রমিকরা। 

    চুনাভাটি বাগানের শ্রমিক নির্মল ওরাওঁ, বিজয় ওরাওঁ বলেন, আমরা আশায় বসেছিলাম কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই বাগানের দুর্দশা ঘোচাতে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চই কিছু একটা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন। কিন্তু একটিও বাক্য ব্যয় করেননি। আমরা হতাশ।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)