নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার: জল্পনা ছিল। সেটাই সত্যি হল। আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাস্থল ভরাতে অসম থেকে বাসে করে প্রচুর লোক আনা হল। অসমের ধুবড়ি ও কোকরাঝাড় জেলা থেকে এদিন দু’শোরও বেশি বাস আসে। এছাড়াও প্রাইভেট গাড়িতে পড়শি রাজ্য থেকে বহু লোক আনা হয়। যদিও বিজেপির দাবি, এলাকায় গাড়ি না মেলায় অসম থেকে বাস ভাড়া করতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু ওই বাসে চেপে যাঁরা মোদির সভায় এসেছেন, তাঁরা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের বাসিন্দা। তবে ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি ভাড়া করে যে কিছু মানুষ অসম থেকে মোদির সভায় এসেছেন, তা স্বীকার করে নেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
এদিকে, মোদির সভায় কেন অসম থেকে বিজেপিকে লোক আনতে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, অসম থেকে লোক আনতে হচ্ছে। তার মানে উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে চিনে গিয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, ডুয়ার্সের বেশিরভাগ চা বাগানের শ্রমিক এদিন মোদির সভায় যাননি। ভরা মরশুমে প্রায় সব বাগানেই পুরোদমে কাজ হয়েছে। সেকারণে অসম থেকে বিজেপিকে লোক আনতে হয়েছে। আমাদের কাছে খবর, অসম থেকে বাসে করে প্রচুর লোক এনেছে ওরা।
বিজেপির কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ অবশ্য বলেন, আমরা আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে কোনও বাস পাইনি। সেকারণে অসমের শ্রীরামপুর, কোকরাঝাড় থেকে ৪০টির মতো বাস ভাড়া করেছিলাম। ওসব বাসে আমার বিধানসভা এলাকার মানুষজনই এসেছে। সভাস্থলের পথে অসমের বাস দেখা গিয়েছে মানেই যে পড়শি রাজ্য থেকে লোক আনা হয়েছে, এমনটা নয়। যদিও তাঁর দাবি, আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য আমরা দলগতভাবে অসম থেকে কোনও লোক আনিনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি এসে থাকেন, সেটা আলাদা ব্যাপার।
বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন,আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ও কোচবিহারের বক্সিরহাট সংলগ্ন অসমের কোকরাঝাড় ও ধুবড়ি জেলা। অপারেশন সিন্দুরের এতবড় সাফল্যের পর দেশের প্রধানমন্ত্রী আসছেন। ফলে তাঁর কথা শুনতে পড়শি রাজ্যের ওসব জেলা থেকে মোদির সভায় লোক তো আসবেনই। কিন্তু অসম থেকে আমরা কাউকে আনিনি। সভাস্থল এমনিই উপচে পড়েছে। রাস্তাতেও প্রচুর মানুষ ছিল। একাধিক জায়গায় তাঁদের বাধা পেতে হয়েছে। ফলে তাঁরা সময়ে পৌঁছতে পারেননি।