উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গায়েব ৫০০ বছরের প্রাচীন ৪৪টি পুঁথি, চাঞ্চল্য
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, বাগডোগরা: পুঁথিশালা থেকে দুষ্প্রাপ্য পুঁথি উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বাংলা বিভাগের অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, প্রায় ৫০০ বছর পুরনো পুঁথির হদিশ মিলছে না পুঁথিশালায়। যা নিয়ে আগের এবং বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের মধ্যে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়েছে।
বাংলা বিভাগের পুঁথিশালা থেকে জাতীয় সম্পত্তি চুরির ঘটনার পরও থানায় কেন অভিযোগ করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিভাগের একাংশের দাবি, ৪৪টি পুঁথির হদিশ নেই। যার মধ্যে বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য ও লোকসংস্কৃতির পুঁথি রয়েছে। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান সুবোধকুমার যশের কাছ থেকে পুঁথিশালার দায়িত্ব নেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা মঞ্জুলা বেরা। প্রায় ৮৫০টি প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য পুঁথির সংগ্রহ রয়েছে বাংলা বিভাগে। তবে ২০২২ সালে পুঁথিশালাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেসময় পাখির বৃষ্ঠা, ধুলোবালিতে ভর্তি ছিল। পুনরায় সেটিকে সংস্কার করে দুষ্প্রাপ্য ওই পুঁথিগুলি সংরক্ষণ করা হয়।
আজ, শুক্রবার মঞ্জুলা বেরার অবসরগ্রহণের দিন। তার আগেই গত ২৬ মে পুঁথিশালার দায়িত্ব তিনি বর্তমান বিভাগীয় প্রধান নিখিলেশ রায়কে বুঝিয়ে দেওয়ার সময়ে ঘটনাটি সামনে আসে। বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের মতে, যেভাবে পুঁথিঘরের রেজিস্টার তৈরি হয়েছে তাতে ক্রমিক সংখ্যায় গরমিল রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশকিছু পুঁথির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মোট ৪৪টি পুঁথি মিলছে না। এটা জাতীয় সম্পত্তি, তাই এ ঘটনাকে ছোট করে না দেখে বুধবার একটি জরুরি বৈঠকও করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে সমাধান না মেলায় শুক্রবার ফের বৈঠকের কথা রয়েছে।
যদিও মঞ্জুলাদেবীর দাবি, যে ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। যে অবস্থায় পুঁথিঘরের দায়িত্ব তিনি পেয়েছিলেন সেভাবেই সযত্নে তা রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। অহেতুক এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, বিষয়টি
শুনেছি। তবে বিভাগ থেকে
আমাকে এখনও প্রকৃত তথ্য জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি থানায় জানানো হবে এবং তদন্ত