• রায়গঞ্জে পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে তরণীর অর্ধশতাব্দী প্রাচীন সংগ্রহশালা
    বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: ৫০ বছর আগে নিজের বাড়িতে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছিলেন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বাউল শিল্পী তরণী সেন মহন্ত। নাম দিয়েছিলেন কুসুম কিশোরী পল্লি পাঠাগার ও লোকশিল্প সংগ্রহশালা। কিন্তু বর্তমানে সেই সংগ্রহশালা পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে। এই সংগ্রহশালায় রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র। ১৯৭৫ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকে রাজ্য ও জেলার লোকশিল্পীরা তাঁদের বাদ্যযন্ত্র এই সংগ্রহশালায় রেখে গিয়েছেন। গবেষকদের কাছে আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠেছে পুরনো বাদ্যযন্ত্র ও বই সমৃদ্ধ এই সংগ্রহশালা। এমনটাই বক্তব্য তরণীবাবুর। তাঁর কথায়, আগামী প্রজন্মের স্বার্থে সংগ্রহশালাটির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।

    বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি। তিনি জানান, সংগ্রহশালার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন কিংবা জেলা মিউজিয়াম ও জেলা লাইব্রেরিতে সেসব ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা যায় কি না, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। 

    তরণীবাবু বলেন, আমার এই সংগ্রহশালায় একতারা, দোতারা, সারেঙ্গা, ডুগডুগি, মুকুল, চামর সহ বহু পুরনো বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। প্রায় তিন হাজারের মতো বাউল গান সংরক্ষণ করা হয়েছে এই সংগ্রহশালায়। রয়েছে বিভিন্ন বাউল শিল্পীর পোশাক। 

    কিছুদিন আগে বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের পড়ুয়ারা গবেষণার জন্য এই সংগ্রহশালা এসেছিলেন। শর্টফিল্ম করতে কলকাতা থেকে রায়গঞ্জে এসেছেন পরিচালক হিমানীশ দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, একটি ডকুমেন্টরি তৈরির জন্য এখানে এসেছি। বাংলার লোকগান ও লোকসংস্কৃতি নিয়েই আমার ডকুমেন্টরি। 

    এই সংগ্রহশালা সংস্কারের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি অব উত্তর দিনাজপুরের সম্পাদক সোমনাথ সিং। তিনি বলেন, প্রশাসনকে কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, ঐতিহাসিক এই সংগ্রহশালার পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার ব্যবস্থা নিক। একই আবেদন তরণীবাবুরও।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)