পলাতক সিএসপি’র মালিককে রায়গঞ্জ থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: ৮ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার উপভোক্তাদের আঙুলের ছাপ নিয়ে আবাসের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় অভিযুক্ত কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের (সিএসপি) মালিক বিকাশ জয়সওয়াল। তাঁর বাড়ি হরিরামপুর থানার বাজার এলাকায়। থানায় লিখিত অভিযোগের পরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এই সিএসপি’র মালিক বিকাশ। গত ২২ মে উপভোক্তারা হরিরামপুর থানায় বাংলার বাড়ির টাকা তছরুপের অভিযোগ করে বিকাশের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থেকে অভিযুক্ত বিকাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। অভিযুক্ত সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।
কতজন উপভোক্তার বাংলা বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সিএসপি’র মালিক বিকাশ? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হতেই আরও দুই উপভোক্তা হরিরামপুর থানায় বাংলার বাড়ির টাকা তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপভোক্তাদের নাম সাজেদুর রহমান ও অমল মুদি। এনিয়ে মোট ৭ জন উপভোক্তা হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, আঙুলের ছাপ নিয়ে অনেকের আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। টাকা না পেয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেননি কয়েকজন উপভোক্তা।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আমরা অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছি। এর পিছনে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতজনের টাকা এভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে, সেটাও জানার চেষ্টা চলছে।
সিএসপি’র মালিকের বিরুদ্ধে এভাবে আবাসের টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় চিন্তিত উপভোক্তারা। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, সরকার উপভোক্তাদের বাংলার বাড়ির টাকা দিয়েছে। অভিযোগগুলির তদন্ত চলছে।
হরিরামপুরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার নসর ইমাম বলেন, আমরা দু’মাস আগেই অভিযোগ পেয়েছি সিএসপি মালিকের বিরুদ্ধে। সিএসপি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক সরাসরি সিএসপি’র অনুমতি দেয় না। সংস্থার মাধ্যমে দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী তারাই গ্রাহকদের টাকা ফেরাবে। আমাদের ব্রাঞ্চে সরাসরি গ্রাহকেরা এসে লেনদেন করতে পারবেন।