নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগ: নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হয়। বৃষ্টির জেরে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ায় ব্লক ও অঞ্চলস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই বাঁকুড়ার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বেলা বাড়ার পর কিছুক্ষণের জন্য সূর্যদেবের দেখা মেলে। তবে রোদ বেশিক্ষণ ছিল না। ফের কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। নিম্নচাপের জেরে পরিস্থিতির উপর বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন নজর রাখছে। ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (বিপর্যয় মোকাবিলা) নকুলচন্দ্র মাহাত বলেন, কারও কোনও সমস্যা হলে কন্ট্রোল রুমগুলিতে যোগাযোগ করতে পারেন। এখনও পর্যন্ত নিম্নচাপের জেরে তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিডিওদের এব্যাপারে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। এদিকে, দুর্গাপুর ব্যারেজে সংস্কারের ফলে দামোদর নদের উপর বিকল্প অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হলে নদের জলস্তর বৃদ্ধি পেলে ওই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। পরিবর্তে ব্যারেজের উপর দিয়ে ছোট যানবাহনগুলি চলাচল করবে। এদিন ওই অস্থায়ী রাস্তা বন্ধ করে ট্রায়াল রান হয়েছে বলে বাঁকুড়ার ডিএসপি ট্রাফিক কৈলাসপতি মাহাত জানিয়েছেন। বাঁকুড়ার ধলডাঙা এলাকার বাসিন্দা অমল ঘোষ বলেন, বৃষ্টির জেরে মানুষ বাড়ি থেকে তেমন বের হয়নি। রাস্তায় যানবাহন চলাচলও কম ছিল।
এদিন সকাল থেকে পুরুলিয়া জেলাজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়। জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মানবাজারে। সেখানে এদিন ১৪.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। জেলা কৃষি আধিকারিক আদিত্য দুয়ারি বলেন, জেলার কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়নি। এই বৃষ্টিতে চাষের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না।
আরামবাগ মহকুমায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আগেই দিয়েছে প্রশাসন। তারজন্য আরামবাগ পুরসভার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এমনকী, বাসিন্দাদের সতর্ক হতে মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু, এদিন তেমন দুর্যোগ হয়নি। বৃহস্পতিবার অবশ্য দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। মাঝে মাঝে দু’-এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। আরামবাগে ছিটফোঁটা বৃষ্টি হয়। আরামবাগ শহরের বাসিন্দা রাজীব চক্রবর্তী বলেন, টানা গরম থেকে স্বস্তি দিয়েছে এদিনের আবহাওয়া। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। আরামবাগের এক ব্যবসায়ী বাসুদেব মাইতি বলেন, কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে জোরে বৃষ্টি হয়নি। দিনভর মেঘলা ছিল আকাশ।
কামারপুকুরের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু লাহা বলেন, সতর্ক বার্তা থাকলেও সারাদিন তেমন বৃষ্টি হয়নি। বিকেল দিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। ছাতা মাথায় লোকজন যাতায়াত করেছে।
খানাকুলের বাসিন্দা আনিসুল হক বলেন, সারাদিন তেমন বৃষ্টি হয়নি। বিকেল দিকে ঝিরঝির করে সামান্য বৃষ্টি হয়। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সব রকম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।