কাটোয়া স্টেশন চত্বরে আবার উচ্ছেদ অভিযান চালাবে রেল
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: অমৃত ভারত প্রকল্পে কাটোয়া স্টেশনের কাজ চলছে। রেলের জায়গা জবরদখল করে থাকা একের পর এক বস্তি উচ্ছেদ করেছে আরপিএফ। বহু অস্থায়ী দোকানঘর ভাঙা হয়েছে। এবার শহরের বহু পুরনো স্টেশন বাজারের মালগুদামে সব্জিবাজার উচ্ছেদ করবে রেল। আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। রুটিরুজি বন্ধ হতে বসায় চিন্তায় ঘুম উবেছে ব্যবসায়ীদের। কাটোয়া স্টেশনের আরপিএফের ইন্সপেক্টর আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে উন্নয়নমূলক কাজ হবে। তাই রেলের জায়গা জবরদখল করে থাকা অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হবে।
কাটোয়া স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া এলাকা মালগুদাম নামে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় ওই এলাকায় মালগাড়ি থেকে মালপত্র ওঠানামা করত। প্রায় ৩০০জন ব্যবসায়ী অস্থায়ী ছাউনি করে সব্জি বিক্রি করেন। বহু বছর ধরে রেলের জায়গায় দোকান তৈরি করে অনেকে ব্যবসা করছেন। এই বাজারে পাইকারি সব্জিই বেশি বিক্রি হয়। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম সহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা ট্রেনে এসে তাঁদের জমির ফসল ওই বাজারেই বিক্রি করেন। এতদিনের পুরনো বাজার এবার ভাঙবে রেল। সব্জি ব্যবসায়ীরা জানান, রেল এতকিছু করছে। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের জন্য মার্কেট করে দিলে ভালো হতো। এখন আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা বলেন, আমরা রেলের জেনারেল ম্যানেজার, ডিআরএমকে পিটিশন দিয়েছিলাম। আমরাও চাই রেলের উন্নয়ন হোক। কিন্তু গরিবের পেটে লাথি মেরে নয়। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। এরপর এখানে কোনও কর্পোরেট সংস্থাকে লিজ দিয়ে শপিং মল করলে আমরাও আন্দোলনে নামব। সিটু নেতা জয়দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা স্টেশন ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু রেল সিদ্ধান্তে অনড়। সব্জি ব্যবসায়ী বিধানচন্দ্র ঘোষ, নিমাই দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করছি। আমাদের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গেল। বস্ত্র ব্যবসায়ী শ্যামল অধিকারী বলেন, বহুদিন ধরে অস্থায়ী ছাউনি করে জামাকাপড় বিক্রি করতাম। রেল আমাদের জন্য একটা মার্কেট করে দিচ্ছে না।-নিজস্ব চিত্র