• বাইক চুরি চক্রের মাস্টার মাইন্ড ও শাগরেদ গ্রেপ্তার
    বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: শুরুতেই জনবহুল এলাকায় চলত রেইকি। নিশ্চিত করা হতো টার্গেট। এরপরই ‘মাস্টার কি’ ব্যবহার করে প্রকাশ্য দিবালোকে বাইক চুরি করত দুষ্কৃতীরা। বাইক চুরির তদন্তে নেমে সিউড়ি থানার পুলিস আন্তঃরাজ্য বাইক চুরি চক্রের পর্দা ফাঁস করল। ইতিমধ্যেই চক্রের মাস্টার মাইন্ড পুলিসের জালে ধরা পড়েছে। ধৃত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুলিস তার শাগরেদকেও গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা শেরাফত আনসারি ও আজিজুল শেখ। শেরাফত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, আজিজুল বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঝাড়খণ্ড সহ সিউড়িতে অভিযান চালিয়ে আটটি চোরাই বাইক উদ্ধার করেছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাইক চুরি চক্রে আর কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। আশা করছি আরও বেশকিছু চোরাই বাইক উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

    থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি বাইক চুরির অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার তদন্তে সিউড়ি থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের দল গঠন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে তদন্তকারী দল বাইক চুরি চক্রের মাস্টার মাইন্ড ও তার শাগরেদকে পাকড়াও করে। ধৃতদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জেরায় মেলা তথ্যের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড ও সিউড়িতে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া আটটি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, সিউড়ি থানা এলাকার নানা প্রান্ত থেকে চুরি যাওয়া বাইক সরাসরি ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানেই সেগুলি বিক্রি করে দেওয়া হতো। উদ্ধার হওয়া বাইকগুলির নথি যাচাই করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেবে পুলিস। 

    পুলিসের তরফে জানা গিয়েছে, মহম্মদ বাজারের বাসিন্দা আজিজুলের মূল দায়িত্ব ছিল রেইকি করা। সাধারণ মানুষের ভেক ধরে সে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ঘুরে রেইকি করত। একই জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা বাইকগুলিই তার টার্গেট থাকত। টার্গেট নিশ্চিত হতেই ঝাড়খণ্ডের মাস্টার মাইন্ডের কাছে বিস্তারিত খবর পৌঁছে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে মাস্টার কি নিয়ে শেরাফত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যেত। মাস্টার কি-র সাহায্যে বাইক চুরি করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিত তারা। 
  • Link to this news (বর্তমান)