বোলপুরে প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ কাজল অনুগামীদের বিরুদ্ধে
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, বোলপুর: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত। এবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন এক কর্মাধ্যক্ষকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল কাজল শেখ অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে যায়। বুধবার রাতে বোলপুর থানার সিঙ্গি পঞ্চায়েতের ঘিদহ এলাকার ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আক্রান্তের নাম শেখ নুর আলম ওরফে হীরা। তিনি বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ। বুধবার রাতে জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। তাঁর অভিযোগ, অনুব্রত অনুগামী হওয়ার কারণেই কাজল গোষ্ঠীর সমর্থকরা তাঁকে মারধর করেছে। বোলপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এর আগেও কাজল অনুগামীদের বিরুদ্ধে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বোলপুরে সম্প্রতি আয়োজিত মহামিছিলকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, মহামিছিলে না যাওয়ার জন্য নানুরের বিভিন্ন এলাকার অনুব্রত অনুগামীদের হুঁশিয়ারি দেন কাজল অনুগামীরা। কিন্তু, তার তোয়াক্কা না করে নুর আলমের নেতৃত্বে বহু কর্মী সমর্থক সেই মিছিলে যোগ দেন। সেই রাগেই বুধবার রাতে কাজলের কর্মী সমর্থকরা তাঁকে মেরে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
নুর আলম বলেন, নানুরে থাকতে গেলে কাজলের অনুগামী হতে হবে, এমনটাই ওরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। কিন্তু, আমি বরাবরই কেষ্টদার অনুগামী। প্রতিদিনই বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে যাই। এই বিষয়টি নজর রেখে বুধবার জসরা ক্যানেল সংলগ্ন এলাকায় কাজলের অনুগামীরা রাস্তায় দড়ি টাঙিয়ে ওঁত পেতেছিল। আমি বাইক থামাতেই ওরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। আমি অচৈতন্য হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরলে হাসপাতালে নিজেকে দেখতে পাই। বোলপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস নুর আলম ওরফে খান্দা ও শেখ ইনসান নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও, মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন সভাধিপতি কাজল শেখ। তবে তিনি এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। • গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বোলপুর শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম। -নিজস্ব চিত্র