নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: মামার হাতে ভাগ্নী খুন! ইকোপার্ক থানার হাতিয়াড়ায় গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে এক গৃহবধূকে। ওই ঘটনায় স্বামী মামাশ্বশুরের নামে থানায় এফআইআর করেছেন। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিস জানতে পেরেছে, খুনের পর অভিযুক্ত মামা বাসে চেপে চম্পট দিয়েছে। তাঁর আসল বাড়ি বিহারে। তিনি সেখানেই গা ঢাকা দিতে পারেন বলে অনুমান। তবে, তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কী কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত কারণ থাকতে পারে বলেও অনুমান পুলিসের। তবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যাবে, ততক্ষণ রহস্য থেকেই যাবে।
গত ২৬ মে, সোমবার বাড়ির ভিতর থেকে সুমনা সাউ (৩১) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে খুন করা হয়। ওইদিন রাতেই মৃতার স্বামী দিলীপ সাউ ইকোপার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি সুমনাদেবীর মামা সুরজকুমার পাসওয়ানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার সময় সুমনাদেবীর মামা ওই বাড়িতেই ছিলেন। খুনের পর থেকেই তিনি উধাও। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। তিনি যদি নির্দোষ হতেন, তাহলে পালাতেন না। তাই এই খুনে তিনি যুক্ত বলেই অনুমান পুলিসের। অন্যদিকে, রাজারহাটের মোবারকপুরে ২০ বছরের এক তরুণকে খুনেরও কিনারা হয়নি। গত ২৬ মে ভোরে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ওইদিন বিকেলে স্থানীয় একটি ভেড়ি থেকে তৌহিদ রহমান সাঁপুই (২০) নামে ওই তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পিঠমোড়া করে বাঁধা ছিল তাঁর হাত। পুলিস জানিয়েছে, এই খুনের এখনও কিনারা হয়নি। তবে, অভিযুক্তের সংখ্যা একের বেশি বলেই অনুমান।