যৌথ পরিদর্শনের পরও নিকাশির কাজ হয়নি, ক্ষুব্ধ জলবন্দি মানুষ
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বৃষ্টি হলে জলবন্দি হয়ে পড়ে দক্ষিণ দমদমের কিছু ওয়ার্ড। সে পরিস্থিতি পাল্টাতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতির কাজ শুরু হওয়ার কথা। এ জন্য জেলা প্রশাসন, মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা যৌথভাবে পরিদর্শন করে। নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রো রুটের কাজের জন্য এলাকার ভেঙে পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থা-এই অভিযোগ ওঠার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে অভিযোগ, প্রস্তাব তৈরির পর আট দিন কাটলেও কাজ শুরু হয়নি। সম্প্রতি পুরসভা নিজেদের উদ্যোগে একটি বন্ধ ড্রেন সংস্কার করে নিকাশির কাজ করে। কিন্তু এখনও সিংহভাগ ড্রেনের মুখ বন্ধ। ফলে নিম্নচাপ চলাকালীন ছ’টি ওয়ার্ডে জল জমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভার দুই, চার, পাঁচ এবং ছ’নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর এই নতুন মেট্রো রুটটি গিয়েছে। রুটের একটি অংশ গিয়েছে বাগজোলা খাল বরাবর। বেশ কিছু জায়গায় মেট্রোর পিলার তৈরির জন্য খালের একাংশ ভরাট হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডের যে হাই ড্রেনগুলি বাগজোলা খালে মিশেছে মেট্রোর লাইন তৈরির সময় ওই ড্রেনগুলির মুখ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বাগজোলা খাল বরাবর পুরসভার নিজস্ব ড্রেন ছিল। সেই ড্রেনও বহু জায়গায় অবরুদ্ধ। মেট্রোর তরফে নতুন ড্রেন তৈরি করা হয়েছে। তবে তা সংকীর্ণ। ফলে ছ’টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। ২১মে উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শনের পর পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে এখনও তা শুরু হয়নি। সোমবার শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জলবন্দি হয়। অনেক ঘরে জল উঠে যায়। এলাকাবাসীর ক্ষোভ কম করতে পুরসভা ময়দানে নামে। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন লাগোয়া এক নম্বর রেলগেটের কাছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ড্রেন নতুন করে খোঁড়া হয়। এরপর কিছু এলাকার জল নামে। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত বলেন, ‘মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ ভিজিট হয়েছে। তাঁরা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখেছেন। তারপরও অজ্ঞাত কারণে ড্রেন সংস্কারের কাজ হচ্ছে না। বহু জায়গা জলবন্দি হয়ে রয়েছে। পুরসভার কর্মীরা ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। স্থানীয় মানুষের সমস্যা আরও সংবেদনশীলতার সঙ্গে মেট্রোর বিবেচনা করা উচিত।’ তবে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘এই কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থায় দু’দিনের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করা অসম্ভব। যখন কাজ হয়েছিল সে সময় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বর্তমান সময় জটিলতা তৈরি হতো না।’