এসএসসিতে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের, কর্মরতদের বাড়তি ১০ নম্বর
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবশেষে নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুলশিক্ষা দপ্তর। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বয়সের ছাড় এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাড়তি নম্বর বরাদ্দ করেছে দপ্তর। এই গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগবিধিও একইসঙ্গে এদিন প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যাকাডেমিক স্কোর হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে ১০ নম্বর। নবম-দশমে স্নাতক এবং একাদশ-দ্বাদশে স্নাতকোত্তর স্তরের নম্বর গ্রাহ্য হবে। তবে নবম-দশমে যদি স্নাতকোত্তরের নম্বর বেশি থাকে, তাহলে তার ভিত্তিতেও মার্কস পাবেন প্রার্থীরা। ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থাকলে পুরো ১০ নম্বরই দেওয়া হবে। ৫০ শতাংশের বেশি ও ৬০ শতাংশের কম থাকলে মিলবে ৮ নম্বর। ৫০ শতাংশের কম থাকলে পাওয়া যাবে ৬ নম্বর। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে মোট ১০ নম্বর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতিবছরের অভিজ্ঞতার জন্য ২ নম্বর করে মিলবে। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে মোট নম্বর ৫। প্রতিবছর থাকবে ১ নম্বর করে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইন্টারভিউতে বরাদ্দ থাকবে ১০ নম্বর। ডেমো ক্লাসের জন্যও বরাদ্দ থাকবে ১০ নম্বর। এই দুই শ্রেণিতে লিখিত পরীক্ষার জন্য থাকছে ৬০ নম্বর।
এবার আসা যাক উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে। এক্ষেত্রে টেট-এ ‘ওয়েটেজ’ মিলবে ৪০ নম্বর। ২৫ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা হবে। অ্যাকাডেমিক স্কোরের নিয়ম অভিন্ন। ইন্টারভিউয়ে ১৫ ও ডেমো ক্লাসে ৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। কর্মরত শিক্ষকদের বয়সের ছাড়ের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বলা ছিল। কীভাবে ছাড় দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে তাই আলাদা করে উল্লেখ নেই। এই ছাড় শীর্ষ আদালতের এপ্রিলের রায় মেনেই দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে যারা ‘দোষী’ হিসেবে প্রমাণিত, তারা এই পরীক্ষায় বসতে পারবে না। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২১-৪০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র রয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কিন্তু ওবিসি সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এনিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে ধন্ধ ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওএমআর শিট প্রথম কাউন্সেলিং থেকে দু’বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। আর সেটির স্ক্যান করা কপি ১০ বছর সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আগের পরীক্ষার ওএমআর দ্রুত নষ্ট করা নিয়ে বিতর্ক হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত।