শহরের মধ্যেই রমরমিয়ে চলছে খাটাল, নালা উপচে রাস্তায় বর্জ্য
বর্তমান | ৩০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বারাকপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বছরের পর বছর রমরমিয়ে চলছে খাটাল। বারাকপুর স্টেশনের সামনে অতীন্দ্র সিনেমা হলের পিছনের খাটালে কয়েকশো গোরু-মোষ রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এভাবেই পাড়ার মধ্যে চলছে একাধিক খাটাল। যার সামনে নামী চোখের হাসপাতাল, বিরিয়ানির দোকান, স্বর্ণ বিপণী রয়েছে। তার পিছনেই চলছে খাটাল। খাটালের গোবরে নিকাশি নালা ভরে রয়েছে। বুধবার গিয়ে দেখা গেল, শহরের প্রাণ কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এন এন বাগচী রোড রীতিমতো গোবরে ভাসছে। কয়েক পশলা বৃষ্টিতে গোবরে ভেসে গিয়েছে গোটা রাস্তা। গোবরের উপর দিয়েই সকলকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সব জেনেও বারাকপুর পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসন নির্বিকার।
খাটালের একজন মালিক অমরনাথ যাদব বললেন, আমরা চার পাঁচ পুরুষ ধরে এখানে রয়েছি। কোথায় যাব। ড্রেন তৈরির কাজ চলছে। আশা করি আর অসুবিধা হবে না। কিন্তু তিনি যাই বলুন না কেন, সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকটি ড্রেন গোবরে ভরে রয়েছে। রীতিমতো উপচে পড়ছে গোবর। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই ২০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত গোরু রয়েছে। তাদের পরিচর্যা করছেন বেশ কয়েকজন। একটি খাটালের পাশে দেখা গেল, পুরসভার ড্রেন তৈরির কাজ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমর মুখোপাধ্যায় জানালেন, সারা বছর আমাদের এই নারকীয় অবস্থার মধ্যে চলতে হয়। বিশেষ করে একটু বৃষ্টি হলেই নাজেহাল অবস্থা। কিন্তু এই সমস্যা সারা বছরের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বললেন, এই খাটাল পরিচালনার পিছনে মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় ধৃত এক অভিযুক্তের পরিবার রয়েছে। এই খাটালের জন্য শুধু এন এন বাগচী রোড নয়, শহরের লাইফ লাইন বলে পরিচিত এস এন ব্যানার্জি রোডেও জল নিকাশি ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কয়েক পুরুষ ধরেই খাটাল চলছে, এ ব্যাপারে সরকারি স্তরের বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটি ড্রেন তৈরি হচ্ছে, তার জন্য জল নিকাশির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ড্রেন তৈরি হয়ে গেলে আশা করি সমস্যা মিটে যাবে। নিজস্ব চিত্র