• দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ নাবালক দাদাদের বিরুদ্ধে, ধৃত এক
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: জোড়া ধর্ষণের ঘটনায় শোরগোল মানিকচকে। এক নাবালিকা এবং এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাদেরই নাবালক দাদাদের বিরুদ্ধে। দুটি পৃথক ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এহেন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে মানিকচকে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জ্যাঠতুতো দাদার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে আক্রোশ বশত। রাগে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে। প্রথম ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও দ্বিতীয় ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানা।

    থানা থেকে প্রায় এককিমি দূরে একটি গ্রামের বিশেষভাবে সক্ষম ধর্ষিতা নাবালিকার বয়স প্রায় ১২বছর। পরিবারে বাবা ও মা রয়েছেন। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মা গৃহবধূ। বাড়ির ঠিক গা ঘেঁষে রয়েছে নির্যাতিতার জ্যেঠুর বাড়ি। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বাড়িতে একাই ছিল নাবালিকা। তার মা জমিতে কাজে গিয়েছিলেন। সেসময় হামাগুড়ি দিয়ে জ্যেঠুর ঘরে যায় নাবালিকা। সেখানেই মদ পান করছিল তার জ্যাঠতুতো দাদা ও তার এক সঙ্গী। সেখানেই  নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়। 

    নির্যাতিতার মা বলেন, মেয়ে হাঁটাচলা এবং কথা বলতে পারে না। সেই সুযোগ নিয়ে এদিন আমার মেয়েকে একা পেয়ে ভাসুরের ছেলে ধর্ষণ করেছে।   মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। বৃহস্পতিবার গভীররাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানা। অন্যদিকে, মানিকচক থানার কালিন্দ্রী এলাকায় এক চারবছরের শিশুকন্যাকে  ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সম্পর্কে তার এক দাদার বিরুদ্ধে। বিষয়টি দেখা মাত্রই শিশুকন্যার মা চিৎকার করেন। সেই সময় অভিযুক্ত নাবালক সেখান থেকে চম্পট দেয়। নির্যাতিতার মায়ের দাবি, প্রতিশোধ নিতে আমার সন্তানকে ধর্ষণ করা হয়েছে। 

    বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মানিকচক থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার মা। বর্তমানে শিশুকন্যাটি মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উভয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকচক থানার পুলিস আধিকারিক বলেন, মানিকচকের ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার মালদহ জেলা জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালক এখনও পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে। শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)