• জামাইষষ্ঠীতে ইলিশের সঙ্গে বাজার মাতাচ্ছে গঙ্গারামপুরের সর দই
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে জেলার বাজারে ছেয়েছে ওড়িশার ইলিশে। পাল্লা দিয়ে জামাইদের শেষ পাতে বাজার মাতাবে গঙ্গারামপুরের সর দই। জেলার মাছ ব্যবসায়ীরা ওড়িশা থেকে ইলিশ ইতিমধ্যে জেলার হিমঘর গঙ্গারামপুরে মজুত করতে শুরু করেছেন। জেলার চাহিদা অনুযায়ী জামাইষষ্ঠীর বাজারে একদিন আগে থেকেই পৌঁছে যাবে। জামাইষষ্ঠীর বাজারে ইলিশের চাহিদা থাকে বরাবর। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে ওড়িশা থেকে  ইলিশ এসেছে। ইলিশের সাইজ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মায়ানমারের হিমায়িত ইলিশও এসেছে গঙ্গারামপুরে। ওজন এক থেকে দেড় কেজি। 

    সীমান্তবর্তী জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে এবার বাংলাদেশের ইলিশ ঢোকার কোনও সুযোগ নেই। চোরাপথে ঢোকারও সম্ভাবনা নেই। গঙ্গারামপুরের মাছের আড়তদার হরিলাল হালদার বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ আমরা বিক্রি করছি না। সেই ইলিশ এই রাজ্যে পাওয়াও যাচ্ছে না। ভারতের ইলিশ এখন অনেক ভালো মানের। ওড়িশা থেকে আমরা ইলিশ এনেছি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে। বড় ইলিশ খেতে চাইলে মায়ানমারের নিতে হবে।

    ইলিশের সঙ্গে জামাইষষ্ঠীর বাজার মাতাচ্ছে গঙ্গারামপুর নয়াবাজারের সর দই।

    মিষ্টি দইয়ের পাশাপাশি সুগার ফ্রি দইও তৈরি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই দই বানানো শুরু হয়েছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে হোম ডেলিভারিও করা হচ্ছে। জেলার পাশাপাশি ভিন জেলাতেও পৌঁছে যাবে গঙ্গারামপুরের এই দই। গঙ্গারামপুরের দই প্রস্তুতকারক বাবু রায় বলেন, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে তিনদিন আগে থেকে দই তৈরি শুরু হয়েছে। প্রত্যেকদিন ৫ কুইন্টাল দুধের দই তৈরি হচ্ছে। অর্ডার অনুযায়ী উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাতেও দই যাচ্ছে। নিজের জেলা তো রয়েইছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)