• মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ফেলা হচ্ছে লোয়ার বাগডোগরার বর্জ্য, ট্রাক্টর আটকালেন গ্রামবাসীরা
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: জঞ্জাল ফেলা নিয়ে দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিবাদ। শিলিগুড়ি মহকুমার লোয়ার বাগডোগরা পঞ্চায়েত এলাকার যাবতীয় বর্জ্য ট্রাক্টরে করে এনে মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফেলা হচ্ছে। এনিয়ে লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মাটিগাড়া-১ পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণ সরকার। এব্যাপারে তিনি বিডিও’র হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। গ্রামবাসীরা ওই ট্রাক্টরটি আটকে রাখেন। 

    অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটলেও হাতেনাতে ধরা যাচ্ছিল না। এদিন কৃষ্ণবাবু বলেন, অভিযোগ পাচ্ছিলাম। কিন্তু রাতে কোথা থেকে জঞ্জাল এনে কে বা কারা ফেলছে বুঝতে পারছিলাম না। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। রাত ১২টা নাগাদ একটি ট্রাক্টরে করে জঞ্জাল এনে মেডিক্যাল মোড় এলাকায় রাস্তার ধারে ফেলা হচ্ছিল। স্থানীয়রা এগিয়ে যাওয়ায় ট্রাক্টর ফেলে চালক পালিয়ে যায়। ট্রাক্টরের গায়ে একটা স্টিকারে লেখা রয়েছে- সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত। 

    এই ঘটনায় মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা টাকা খরচ করে লোক দিয়ে এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। আমাদেরও জঞ্জাল ফেলার জায়গা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আমরা অন্য কারও এলাকায় গিয়ে জঞ্জাল ফেলি না। লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত নীতি বিরুদ্ধ কাজ করেছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। বিষয়টি আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। 

    প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হলেও তার পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। জঞ্জাল ফেলা ও প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা ছাড়াই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করায় এই সমস্যায় প্রায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পড়তে হচ্ছে। 

    যদিও এই ঘটনায় নিজেদের দায় এড়িয়েছেন লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা বর্মন। তিনি বলেন, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প আমাদের চালু হয়েছে। তবে আমার পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল ফেলার কোনও জায়গা নেই। একজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সে তার নিজস্ব জায়গায় সব জঞ্জাল নিয়ে গিয়ে ফেলবে বলে কথা দিয়েছিল। একমাসের জন্য তাকে দেখা হবে। এই শর্তে সম্প্রতি সে কাজ শুরু করেছে। আমার অফিসের এককর্মী ওই ব্যক্তিকে এনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতি ট্রিপে দু’হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা হয়েছিল। মাটিগাড়া-১ পঞ্চায়েতে এলাকায় জঞ্জাল নিয়ে গিয়ে ফেলা হচ্ছে জানা ছিল না। এটা আমিও সমর্থন করি না। ওই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠিয়েছি। -  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)