মঙ্গলকোটের ত্রাস সাদ্দাম অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার কাটোয়ায়
বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: মঙ্গলকোটের ন’পাড়া গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে গুলি, বোমাবাজির মতো ঘটনা লেগেই থাকে। সেখানকার ত্রাস শেখ সাদ্দাম বৃহস্পতিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’রাউন্ড গুলি সহ কাটোয়া থানার পুলিসের জালে ধরা পড়ল। শুক্রবার তাকে কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
শেখ সাদ্দাম বহুদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, আগ্নেয়াস্ত্র রাখা সহ প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে। বেশিরভাগ মামলাই মঙ্গলকোট থানায়। গতবছর আগস্ট মাসে মঙ্গলকোটের ঝিলু-২ পঞ্চায়েতের পূর্ব ন’পাড়া গ্রামে গুলিচালনার পর থেকেই সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। মঙ্গলকোট থানা তার টিকিও ছুঁতে পারেনি। বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়ার হরিপুর বাইপাসের কাছে সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস জানিয়েছে, গতবছর ২৯ আগস্ট রাতে পূর্ব ন’পাড়ায় তৃণমূলের এক বুথ সভাপতিকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি, এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, ওই রাতে বাড়ির সামনেই তৃণমূল নেতা রবিউল শেখ, তাঁর চাচাতো ভাই শেখ নাসিরুদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন দলীয় মিছিলের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করছিলেন। সেসময় ১৫-২০জনের একটি দল রবিউলকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। রবিউল কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন। শেখ নাসিরুদ্দিন দলের পার্টি অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানেও বোমাবাজি ও গুলি ছোড়া হয়। বোমা ও গুলিতে নাসিরুদ্দিনের হাত পুড়ে গিয়েছিল। ওইদিনের ঘটনায় শেখ সাদ্দাম মূল অভিযুক্ত ছিল।
শুধু তাই নয়, গতবছর কাটোয়া থানার পুইনি গ্রামে রাকেশ দাস নামে এক যুবকের বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানেও গুলি চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত ছিল শেখ সাদ্দাম। তার বিরুদ্ধে রাস্তায় ডাকাতির অভিযোগও আছে। গুলি চালাতে পটু সাদ্দামকে নিয়ে পুলিসের ঘুম উড়েছিল। এলাকায় থাকলেই সে কোনও না কোনও গোলমাল পাকাত। অবশেষে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করেছে। কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে সাদ্দামকে।-নিজস্ব চিত্র